স্পোর্টস ডেস্ক : দ্বিতীয় দিনের খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। তৃতীয় দিনে হোবার্টের বেলরিভ ওভালে থাকল দক্ষিণ আফ্রিকার আধিপত্যই। প্রথম দিনের শেষের ৫ উইকেটে ১৭১ রানকে ৩২৬-এ তুলেই থেমেছে তারা। নিয়েছে ২৪১ রানের স্বস্তিদায়ক এক লিড। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন কুইন্টন ডি কক, টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকে এসেছে লড়াকু এক হাফ সেঞ্চুরি। শেষের দিকে ভারনন ফিল্যান্ডারের ব্যাট হাতে দৃঢ়তা। সব মিলিয়ে দারুণভাবেই নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানটা নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
বেশ বড় চ্যালেঞ্জই এখন অস্ট্রেলিয়ার সামনে। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া স্বাগতিকদের প্রথমে ২৪১ রানের ঘাটতি পূরণ করতে হবে, এরপর চেষ্টা করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগালের বাইরে যাওয়ার। কঠিন চ্যালেঞ্জ, বলাই বাহুল্য।
জশ হ্যাজেলউড ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মিচেল স্টার্ক পেয়েছেন ৩টি। নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটটি পেয়েছেন জো মেনি। কুইন্টন ডি কক ১০৪ রান করেছেন ১৪৩ বলে, ১৭ চারের মারে। বাভুমা ৭৪ রান করতে খেলেছেন ২০৪ বল। তাঁর ইনিংসে বাউন্ডারি ৮টি। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ১৪৪ রানের জুটিই হোবার্ট টেস্টের লাগামটা পুরোপুরিই এনে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। এই জুটি সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলীয়রা। ব্যক্তিগত ৭২ রানের সময় ডি কককে স্টাম্পিং করার সুযোগ হারান পিটার নেভিল। বল করছিলেন নাথান লায়ন। জো মেনির বলে বাভুমার ক্যাচ উঠলেও বলে নিচে সময়মতো যেতে পারেননি কালাম ফার্গুসন।
টানা পাঁচ ইনিংসে ৫০ অথবা এর চেয়ে বেশি রান করে নিজেকে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের অভিজাত দলেই নিয়ে গেছেন ডি কক। তাঁর আগে এমন কৃতিত্ব আছে অ্যালেন মেলভিল, জ্যাক ক্যালিস (তিনবার), হাশিম আমলা ও হানসি ক্রোনিয়ের।
প্রোটিয়াদের ইনিংস ৩০০ ছাড়িয়েছে ভারনন ফিল্যান্ডারের দৃঢ়তায়। শেষ উইকেটে কাগিসো রাবাদার সঙ্গে তাঁর ২৯ রানের জুটিটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বল হাতে দারুণ করা ফিল্যান্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রান।
২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলেই কাইল অ্যাবটের বলে উইকেটকিপার ডি ককের হাতে ধরা পড়েছেন জো বার্নস। সূত্র: রয়টার্স।