নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় দফায় আবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আজ সোমবার সকালে দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে ৬ দশমিক ২ তীব্রতার দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এর আগে গতকাল রোববার মধ্যরাতে ৭ দশমিক ৮ তীব্রতার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে মারা গেছে দুজন। বিভিন্ন সড়ক ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজারো মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
জরুরি উদ্ধারকারী দল ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে করে ক্রাইস্টচার্চ শহর থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্প উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পে সেখানে কয়েকটি ভবন ধসে গেছে ও লোকজন আহত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮।
এর আগে ২০১১ সালে ক্রাইস্টচার্চে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এখনো সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি শহরটি। ৬ দশমিক ৩ তীব্রতার ওই ভূমিকম্পে ১৮৫ জন মারা গিয়েছিল।
দুই দফা ভূমিকম্পে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ভবনের ঝুঁকির মাত্রা যাচাই করছে। এ জন্য ভবনগুলো থেকে লোকজনকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সেখানে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ ভূকম্পনের ফলে বেশ কিছু ভবনের কাচ আলগা হয়ে আছে।
বিদ্যুৎ-সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি রাজধানীতে পার্লামেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওয়েলিংটনে এত বড় ভূমিকম্প আগে কখনো দেখিনি। সড়ক ও অবকাঠামো খাতে প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে।’