নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে তিন লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।সোমবার সচিবালয়ে বাজেট পর্যালোচনা বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেটের এ নতুন আকার তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এটি চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে সার্বিক বাজেট বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ শতাংশ। চলতি অর্থবছর শেষ এই প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়তে পারে। তবে ভ্যাট আদায় তুলনামূলক কম। সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে, ব্যাংক থেকে তেমন ঋণ নেয়া হচ্ছে না। এতে সরকারের দায় বেড়ে যায়। বরাবরই ব্যাংকের তুলনায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার বেশি থাকে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী আয় কমছে। এর একটি কারণ বিদেশে বেতন কমে যাচ্ছে ফলে অনেকে বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে বিদ্যুৎখাতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। যাতে সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পেতে পারে।
এডিপি বাস্তবায়ন সন্তোষজনক জানিয়ে তিনি বলেন, দু’একটি ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প কর্মকর্তা পুল তৈরী করা হচ্ছে। এটি এ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হলে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার বাড়বে।
পদ্মাসেতুর কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বাজেটে পদ্মাসেতু প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ শেষ হয়ে গেছে। আরো অর্থের সংস্থান করতে হবে।