এবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে কোহিনুর মামলা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোহিনুরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে হেরিটেজ বেঙ্গল। শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর জানিয়েছেন, এই হিরে কাদের সম্পত্তি তা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য আদালত শুনবে। তার জন্য চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে। দেড় মাস পর এই নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা মামলার শুনানির মধ্য দিয়ে আবারও বিশ্বের সবচয়ে দামি এবং আলোচিত হীরা কোহিনুর পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ভারতীয়রা। বেঙ্গল হেরিটেজের পর তার মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এর দ্বিতীয় মামলাকারী তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক বিশিষ্ট আইনজীবী সুখেন্দুশেখর রায়।
এদিনের শুনানি নিয়ে দিল্লি থেকে ফোনে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, অন্তত ১০ বছরের গবেষণার পর এমন বিষয় নিয়ে মামলা করা হয়েছে। কোহিনুর যে আমাদের দেশের সম্পত্তি, তা নিয়ে সবরকম আলোচনা চেয়েই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। রাজা দীলিপ সিংয়ের সঙ্গে যখন এই চুক্তি হল, তখন তার মাত্র নয় বছর বয়স। কোনও নাবালক রাজার সঙ্গে এমন চুক্তি হতে পারে না। তা ছাড়া সেই চুক্তিতেই রয়েছে রাজবংশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে হিরে সমর্পণের কথা। তাই তা কোনওভাবেই ব্রিটিশ সম্পত্তি নয়।
মামলার সপক্ষে একাধিক তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। ১৮৪৯ সালে মহারাজা দীলিপ সিংয়ের সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হওয়া চুক্তি, বাবরনামাসহ একাধিক ঐতিহাসিক তথ্যে কোহিনুরের ভারতীয় সম্পত্তি হওয়ার উল্লেখ, ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তার উল্লেখকেও তথ্য-প্রমাণ হিসাবে দাখিল করা হয়েছে। সঙ্গে দাখিল করা হয়েছে কোহিনুর সংক্রান্ত অন্তত ১০০ বছরের পুরনো একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। সুখেন্দুশেখরবাবুর বক্তব্য, দেশের সম্পত্তি আমরা ফেরত চাই। তার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।