আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচারণায় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো চষে বেড়াচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যকে ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড’ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই রাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলেই দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন এটা একরকম নিশ্চিত। তাই নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শনিবার এসব রাজ্যগুলোতে প্রচারণা চালিয়েছেন এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী।
এরইমধ্যে অন্যতম দোদুল্যমান রাজ্য নেভাদায় ট্রাম্পের সমাবেশে রিপাবলিকান প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
তবে হুমকির ধরণটি পরিষ্কার নয়। নেভাদার রেনো শহরে ওই প্রচারণা সমাবেশে ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় সিক্রেট সার্ভিসের দুই এজেন্ট তার কাঁধ ধরে তাড়াহুড়া করে তাকে মঞ্চের পেছন দিকে নিয়ে যান। অপরদিকে উপস্থিত সমর্থকদের সামনে থাকা এক শ্বেতকায় ব্যক্তির ওপর বহু সংখ্যক পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ওই ব্যক্তির মাথা নিচু করে মেঝের দিকে ধরে রেখে তার শরীর তল্লাশি করে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে পেছনে হাতমোড়া করে বেঁধে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ট্রাম্প মঞ্চে ফিরে এসে ফের বক্তৃতা শুরু করেন, এ সময় তাকে দেখে কিছু ঘটেছে বলে মনে হচ্ছিল না।
“এটা আমাদের জন্য সহজ হবে কেউ এমনটি বলেনি, কিন্তু আমরা কখনোই থামবো না,” বলেন তিনি।
ঘটনার শুরু হয় যখন ট্রাম্প লক্ষ করেন কেউ একজন সমাবেশে ‘বিঘ্ন’ ঘটানোর চেষ্টা করছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মঞ্চের কাছে থাকা লোকজন ভিড়ের মধ্যে কারো একজনকে দেখাতে থাকে।
এ সময় সিক্রেট সার্ভিসের দুই এজেন্ট ট্রাম্পকে সরিয়ে নেন। ঘটনাস্থলে থাকা সিএনএন-র একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছন, কেউ কোনেো অস্ত্র দেখেনি।
ওই ব্যক্তিকে ‘হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবিরের’ কেউ একজন বলে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প।
এক বিবৃতিতে ট্রাম্প রেনোর সিক্রেট সার্ভিস এবং নেভাদার আইন প্রয়োগকারীদের তাদের ‘দ্রুত ও পেশাদারী পদক্ষেপের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
অপরদিকে আরেক দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভ্যানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় হিলারি প্রচারণা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পপ গানের তারকা কেটি পেরি। এই সমাবেশে হিলারি বলেন, “যখন আপনার সন্তান ও নাতি-নাতনীরা জিজ্ঞেস করবে, ২০১৬ সালে আপনি কি করেছিলেন, আমি চাই আপনার যেন বলেতে পারেন আমি আরও ভালো ও শক্তিশালী আমেরিকার জন্য ভোট দিয়েছিলাম।”
মতামত জরিপে দেখা গেছে, যে অঙ্গরাজ্যগুলোকে ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড’ বলা হচ্ছে সেগুলোতে এখনও এগিয়ে আছেন, তবে অগ্রগামিতা হ্রাস পেয়েছে।
শনিবার প্রকাশিত ম্যাকক্ল্যাচি-ম্যারিস্টের মতামত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ট্রাম্পের চেয়ে এক শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন হিলারি।
একইদিন রয়টার্স/ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে হিলারি চার শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।