নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির, হিন্দু বসতবাড়িতে হামলায় ৮৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এর মধ্যে ছোট-বড়, ব্যক্তিগত-সার্বজনীন মন্দির ১৪টি বসতবাড়ি ৫৮টি। ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে এই ক্ষতির পরিমাণ জানা গেছে।
বসতবাড়ি থেকে যত টাকা নগদ লুট : উপজেলার চারটি পাড়া-মহল্লার ২৭টি বাড়ি থেকে নগদ অর্থ লুটের পরিমাণ আট লাখ ৯২ হাজার ৩০০। এর মধ্যে ঘোষপাড়ার ছয়টি, কাশীপাড়ার ১৬টি, পূর্ব পাড়ার দুইটি, গাংকল পাড়ার তিনটি বাড়ি রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঘোষপাড়ার গোপাল দাসের ঘর থেকে ২০ হাজার, মন্টু মালাকারের ঘর থেকে ৪০ হাজার, রিপন মালাকারের ঘর থেকে ৫০ হাজার, হরি মাধব মল্লিকের ঘর থেকে ২০ হাজার, নিরঞ্জন ঘোষের ঘর থেকে ৬০ হাজার, বিনোদ বিহারী চৌধুরীর ঘর থেকে দুই লাখ টাকা লুট করা হয়।
কাশীপাড়ার হরিদাস সূত্রধরের ঘর থেকে ৫০ হাজার, জয় শংকর সূত্রধরের ঘর থেকে ৫০ হাজার, পালন সূত্রধরের ঘর থেকে ১১ হাজার, অতুল সূত্রধরের ঘর থেকে ৩০ হাজার, মালদা দাসের ঘর থেকে ২০ হাজার, নেপাল সূত্রধরের ঘর থেকে ২৫ হাজার, সুনীল সূত্রধরের ঘর থেকে ২২ হাজার, শিব মোহন সূত্রধরের ঘর থেকে ১৫ হাজার, মানিক দাসের ঘর থেকে ১৫ হাজার, বল্টু দাসের ঘর থেকে ১০ হাজার, প্রদীপ দাসের ঘর থেকে ২৫ হাজার, সুভাস চৌধুরীর ঘর থেকে ২০ হাজার, দীলিপ চৌধুরীর ঘর থেকে ৮১ হাজার, অমল দাসের ঘর থেকে ৫ হাজার, মতিলাল দাসের ঘর থেকে ১৫ হাজার, বানুদাসের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।
পূর্বপাড়ার সুশীল সরকারের ঘর থেকে ৫ হাজার, সজল সরকারের ঘর থেকে ৩৩ হাজার টাকা লুট করা হয়।
গাংকল পাড়ার শিবু দাসের ঘর থেকে ৩৫ হাজার, কুমুদ দাসের ঘর থেকে ১৫ হাজার ও মোহন লাল দাসের ঘর থেকে ৩১ হাজার টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।
যতো বসত বাড়ি থেকে সোনা-রূপা লুট : উপজেলার চারটি পাড়া মহল্লার ১৭টি বসতবাড়ি থেকে ২৮ ভরি সোনা ও একটি বসতবাড়ি থেকে ২ ভরি রূপা লুট করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব পাড়ার সজল সরকারের ঘর থেকে দেড় ভরি সোনা লুট করা হয়েছে। কাশীপাড়ার হরিদাস সূত্রধরের ঘর থেকে ৩ভরির কিছু বেশি, শ্রীবাস সূত্রধরের ঘর থেকে ১ ভরি, নেপাল সূত্রধরের ঘর থেকে ১ ভরি, সুনীল সূত্রধরের ঘর থেকে ১ ভরি, শিব মোহন সূত্রধরের ঘর থেকে দেড় ভরি, মানিক দাসের ঘর থেকে দেড় ভরি, বল্টু দাসের ঘর থেকে ৮ আনা, প্রদীপ দাসের ঘর থেকে ১ ভরি অমল দাসের ঘর থেকে ২ ভরি সোনা লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।
ঘোষপাড়ার মন্টু মালাকারের ঘর থেকে আধভরি, রিপন মালাকারের ঘর থেকে দেড়ভরি, কৃষ্ণ দাসের ঘর থেকে ২ ভরি, নিরঞ্জন ঘোষের ঘর থেকে ১ ভরি ও বিনোদ বিহারী চৌধুরীর ঘর থেকে ৮ ভরি সোনা লুট করে দুর্বৃত্তর।
গাংকল পাড়ার শিবু দাসের ঘর থেকে ১ভরি, মোহল লাল দাসের ঘর থেকে ১ ভরি সোনা লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া কাশীপাড়ার শিব মোহন সূত্রধরের ঘর থেকে ২ভরি রূপা লুট করা হয়।
নাসিরনগর সদরের সোনা-রূপা ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার মানুষ যে মানের সোনা ব্যবহার করেন- তার মূল্য ভরি প্রতি ৪০ হাজার ও ভরিপ্রতি রূপার মূল্য ৬০০ টাকার বেশি নয়। সে হিসেবে লুটে নেয়া সোনার মূল্য দাঁড়ায়- ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও রূপার মূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা।
মন্দির থেকে যতো সোনা-রূপা লুটপাট : নাসিরনগর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সাগর শনিবার সকালে আমাদের সময় ডটকমকে জানান, পশ্চিম পাড়ার লংগন নদীর তীরে অবস্থিত প্রায় দেড়শ বছরেরও বেশি বয়সী জগন্নাথ মন্দির থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের (২১ভরির কিছু বেশি) গোপাল মূর্তি লুট করা হয়েছে। তবে মূর্তির সিংহাসনটি রয়েছে। মূর্তিটি আনুমানিক দেড়শ বছর ধরে এখানে ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। কথিত আছে- এটি এখানে দান করেছিলেন- উপজেলার পার্শ্ববর্তী সরাইল উপজেলার জমিদার দেওয়ান। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের সর্বনিম্ন মূল্য অনযায়ী- এ মূর্তির দাম আট লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া মন্দির থেকেই জগন্নাথ, শুভদ্র ও বলদেব দেবতার মাথায় থাকা তিনটি রূপার মুকুট লুট করা হয়। এ তিনটির ওজন আনুমানিক ১০০ ভরি। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের মূল্য অনুযায়ী- এ ওজনের রূপার দাম ৬০ হাজার টাকা। নগদ ২০ হাজার টাকাও এখান থেকে লুট করা হয়েছে বলে বিজয় জানান।
গৌরমন্দির থেকে লুটে নেয়া হয় আট ভরি সোনা বলে জানান এ মন্দির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা ও নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য নগেন দাস। লুটে নেয়া সোনার মধ্যে দুটি মূর্তি ও দুটি চাঁদ ছিল।
মন্দিরে আরও যতো ক্ষয়ক্ষতি : কাশীপাড়া, পশ্চিম পাড়া, পূর্বপাড়া, গাংকল ও ঘোষপাড়ার পাড়ার প্রায় সব মন্দিরেই ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এসব মন্দিরের মধ্যে পাঁচটি সার্বজনীন মন্দির রয়েছে। এসব হচ্ছে- কোর্ট রোডে একটি খালের উপর পিলার দিয়ে উঁচু করে পাকা করে নির্মিত শ্মশান খোলা কালী মন্দির, পশ্চিম পাড়ার জগন্নাথ মন্দির, গাংকল পাড়ার দুর্গা মন্দির, ঘোষ পাড়ার গৌর মন্দির, এর সংলগ্ন শিব মন্দির।
মন্দিরগুলোর পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ও সরেজমিনে মন্দিরগুলো দেখে জানা গেছে, প্রতিমা, মূর্তি ভাংচুরের পাশাপাশি মন্দিরের অবকাঠামো, আসবাবপত্র, বাদ্যযন্ত্র ব্যাপক ভাংচুরের পাশাপাশি লুট করা হয়েছে- নগদ অর্থ, সোনা-রূপা, তামা-কাসার সামগ্রীসহ বহুকিছু।
জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার সঙ্গে য্ক্তু পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা রবি চৌধুরী জানান, সবমিলিয়ে তাদের মন্দিরের ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ টাকারও বেশি। নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার মূর্তি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মন্দির পরিচালনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সাগর জানান, এসব আর ব্যবহারযোগ্য নয়। নতুন করে মূর্তি তৈরিতে খরচ পড়বে অন্ততঃ দেড় লাখ টাকা, আরও আছে দীর্ঘ আনুষ্ঠানিকতার পর্ব।
শ্মশান খোলা কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রদীপ সূত্রধর জানান, এ মন্দিরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা। সরেজমিনে কাঠের সিড়ি দিয়ে উঠে মন্দিরে দেখা যায়, কালী প্রতিমার ধ্বংসাবশেষ, বাদ্যযন্ত্র পড়ে আছে পুকুরে। ভেতর একদম তছনছ। উপরে বৈদ্যুতিক দুটি পাখায়ও রয়েছে হামলার আলামত।
গাংকল পাড়ার দুর্গামন্দিরও তছনছ অবস্থায় দেখা গেছে শনিবার সকালে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কালী পূজার প্রতিমা ভাঙ্গা। ভেতরের সব সরঞ্জাম তছনছ। এ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র দাস দাবি করেন- এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
ঘোষ পাড়ায় অবস্থিত গৌরমন্দিরেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আলামত দৃশ্যমান দেখা যায়। এখান থেকে সোনা-রূপা লুটের পাশাপাশি অবকাঠামো প্রতিমা-মূর্তি, আসবাবপত্র, পূজার সরঞ্জাম, রান্নাঘর ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। মন্দিরে থাকা রাধাকৃষ্ণের একটি, পঞ্চতত্ত্বের একটি, দুটি প্রভুর মূর্তি (সিংহাসনসহ) চুরমার। এসব তৈরিতে বর্তমানে আনুমানিক খরচ পড়বে যথাক্রমে- এক লাখ, আড়াই লাখ ও ২৫ হাজার টাকা বলে জানান এ মন্দির পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা নগেন দাস। এছাড়া নগদ দুই লাখ টাকা লুট ও প্রায় দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে জানিয়ে তিনি দাবি করেন- সবমিলিয়ে ১১ লাখ টাকার মতো।
এ মন্দিরের সংলগ্নই শিব মন্দির। বিশাল আকারের শিব দেবতার বাম পা ও বাম হাতের আঙ্গুল ভাঙা দেখা গেছে। এর অবকাঠামো ও সরঞ্জাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শিব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নগেন দাস জানান, এই দেবতার মূর্তি তৈরি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। নিয়মমতন এটা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। এখানে প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি নগেন দাসের।
ঘোষপাড়ায় মন্টু ঘোষের ব্যক্তিগত রাধামন্দির, মরণ চাঁদ ঘোষের ব্যক্তিগত শিবমন্দির, বিজয় ঘোষের দুর্গামন্দির, বিনোদ বিহানী চৌধুরীর ব্যক্তিগত বাসন্তি মন্দির, পূর্বপাড়ায় অঞ্জু সরকারের ব্যক্তিগত বিশ্বকর্মা মন্দির, পশ্চিম পাড়ার সাগর দাসের বাড়ির দুর্গা মন্দির, দত্তপাড়ার দত্ত বাড়ির মন্দিরেও ভাংচুর-লুটপাট করা হয়।
ঘোষপাড়ার মনু গোপের ছেলে সঞ্জয় গোপ জানান, তাদের বাড়ির উঠানে অবস্থিত মন্টু ঘোষের ব্যক্তিগত রাধামন্দির ভাংচুরে ৩০ হাজার, মরণ চাঁদ ঘোষের ব্যক্তিগত শিবমন্দির ভাংচুরে ২০ হাজার, বিজয় ঘোষের দুর্গামন্দির ভাংচুরে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
বিনোদ বিহানী চৌধুরীর ভাই বিমল চৌধুরী জানান, তাদের মন্দিরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার, পূর্বপাড়ায় অঞ্জু সরকারের মন্দিরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার, পশ্চিম পাড়ার সাগর দাসের বাড়ির দুর্গা মন্দিরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান ভারত প্রবাসী সাগরের স্বজন গোবর ধন দাস। দত্তপাড়ার দত্ত বাড়ির মন্দিরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেন এ বাড়ির অন্যতম মালিক ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত।
বসত বাড়িতে আরও যতো ক্ষয়ক্ষতি : সবচেয়ে বেশি বসতবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কাশীপাড়ায়, ২৩টি। এছাড়া ঘোষপাড়ায় ১৫টি, পূর্ব পাড়ায় ১০টি, গাংকল পাড়ায় ৯টি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশিয় অস্ত্র, লাঠির আঘাতে এসব ঘরের টিন, আসবাবপত্র, ধানের গোলা, রান্নাঘর, কাপড়চোপড়, তৈজসপত্র, খাদ্যসামগ্রী, বৈদ্যুতিক মালামাল, জাল, ভ্যানগাড়ি, প্রার্থনা কক্ষসহ নিত্য ব্যবহার্য মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কারও কারও মালামাল ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে।
কাশীপাড়ার হরিদাস সূত্রধরের ঘরের টিন, রান্নাঘর, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার স্ত্রী দীপালি সূত্রধর জানান, তার শোকেইসর ড্রয়ারে রক্ষিত ৩ ভরি সোনা লুট ও তার গলায়, কানে থাকা সোনার অলংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে তার ক্ষতি পরিমাণ ২ লাখ টাকার মতন।
একই পাড়ার শ্রীবাস সূত্রধর, প্রদীপ সূত্রধর, শংকর সূত্রধর, অতুল সূত্রধর, পালন সূত্রধর, শ্রীবাস সূত্রধর, মালদা দাস, নেপাল সূত্রধর, সুনীল সূত্রধর, নীল মোহন সূত্রধর, শিব মোহন সূত্রধর, গোপাল সূত্রধর, মানিক দাস, বল্টু দাস, সুবোধ চৌধুরী, প্রদীপ দা, সুভাস চৌধুরী, দিলীপ চৌধুরী, কমল দাস, মতিলাল দাস, বানু দাস, হরলাল দাসের বসতবাড়িও কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসব বাড়ির গৃহকর্তা বা গৃহকত্রীর দাবি অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ- যথাক্রমে- ১০ হাজার, ৭ হাজার, ৬০ হাজার, ৩০ হাজার, ৩৫ হাজার, ৩০ হাজার, ৫৫ হাজার, ৭০ হাজার, ৬৫ হাজার, ৩০ হাজার, ৭০ হাজার, ৩ হাজার, দেড় লাখ, ৫০ হাজার, ৫ হাজার, ৮০ হাজার, ২৫ হাজার, ৮৫ হাজার, ২ লাখ, ৫০ হাজার, ৪৫ হাজার, ২০ হাজার টাকা।
ঘোষপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে- গোপাল দাস, মন্টু মালকার, রিপন মালাকার, হরি মাধব মল্লিক, অবনী মালাকার, কৃষ্ণ দাস, মরণ চাঁদ ঘোষ, গৌতম ঘোষ, উত্তম ঘোষ, বিজয় ঘোষ, মনু গোপ, শংকর দাস, নিরঞ্জন ঘোষ, নিদু ঘোষ, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, রিপন ঘোষের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বাড়ির গৃহকর্তা ও গৃহকত্রীর দাবি অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে- ৬০ হাজার, ৮৬ হাজার, ১ লাখ ২০ হাজার, ৩০ হাজার, ১০ হাজার, ৯০ হাজার, ১০ হাজার, ৭ হাজার, ১০ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার, ৫ হাজার, ৬০ হাজার, ১০ হাজার, সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
পূর্ব পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে- শম্ভু সরকার, সুজিৎ সরকার, সুমন সরকার, মোহন বাঁশি সরকার, হরলাল ম-ল, রবিলাল সরকার, সুশীল সরকার, সজল সরকার, প্রদীপ সরকার, শম্ভু সরকারের বসতবাড়ি। দাবি অনুযায়ী- তাদের ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে ৫ হাজার, ৩৫ হাজার, ৬ হাজার, ৫ হাজার, ৫ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১ লাখ, ৩ হাজার, ৩৪ হাজার। এসব বাড়ির গৃহকর্তা ও গৃহকত্রীরাই এসব দাবি করেন।
গাংকল পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে- বিমল দাস, সমীর দাস, শিবু দাস, লিটন দাস, শনি দাস, কুমুদ দাস, মোহন লাল দাস, ঝন্টু দাস, হরেন্দ্র দাসের বসতঘর। দাবি অনুযায়ী তাদের ক্ষতির পরিমাণ যথাক্রমে- ১০ হাজার, ৭ হাজার, ৯০ হাজার, ১৫ হাজার, ২ হাজার, ১৫ হাজার, ১ লাখ, ২৫ হাজার, ১৩ হাজার।এসব বাড়ির গৃহকর্তা ও গৃহকত্রীরাই এসব দাবি করেন।
আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আপনাদের তথ্যে সঙ্গে একমত। তিনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা কামনা করেন।
নাসিরনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদও তথ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আমরা এখনও চূড়ান্ত হিসাব করিনি, কাজ চলছে। তবে আপনাদের তথ্যের তথ্যের সঙ্গে একমত। খুব দ্রুত সরকারিভাবে সহযোগিতা করার কাজ অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।