আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরী ও গণফোরামের সভাপতি ডঃ কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি বেসরকারি তদন্ত কমিটি গঠনের সরকারকে পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি সরকারসহ প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কথা বলেন। তিনি এককভাবে কোন রাজনৈতিক দলকে দায়ী না করলেও হিন্দু সম্প্রদারের জানমালের ও নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ রবিবার সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক,ইকবাল সিদ্দিকী,শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার,এডভাকেট মনমোহন দেবনাথ,এডভোকেট আতিকুর রহমান ও এডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ একটি প্রতিনিধিদল নাসিরনগর গৌর মন্দির,দত্তবাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেন
অন্যদিকে নাসিরনগরের এঘটনায় এপযর্ন্ত ৫৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়। এর আগে গত সাতদিনে ৪৪জনকে আটক করা হয়েছিল। নাসিরনগর থানার নবাগত ওসি মোঃ আবু জাফর আটকের কথা স্বীকার করেছে। এঘটনায় কাজল জ্যোতি দত্ত ও নির্মল চৌধুরী বাদি হয়ে সহ¯্রাধিক অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে থানায় পৃথক দু‘টি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে শনিবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসকে (৩০) আটক করে এলাকাবাসি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই রসরাজের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি একদল লোক বের হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন আহত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।