স্পোর্টস ডেস্ক :যেন ‘কই মাছের প্রাণ’ মঈন আলীর! ছবি: শামসুল হকমাঝখানে লাঞ্চের বিরতি হয়েছে। কুমার ধর্মসেনা এর মধ্যে একবার লেগ আম্পায়ারের দায়িত্বেও ছিলেন। না হলে তাঁর দায়িত্বে থাকা ছয় বলের মধ্যেই ঘটল ব্যাপারটা। তিন তিনবার লঙ্কান আম্পায়ার তর্জনী তুলে আউট ঘোষণা করলেন মঈন আলীকে। তিনবারই রিভিউ নিল ইংল্যান্ড। তিনবারই ‘নটআউট’ ঘোষিত হলেন মঈন
তিনবারই দুর্ভাগা বোলারের নাম সাকিব আল হাসান!
প্রথমবার ঘটল ইনিংসের ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে। সাকিবের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দিলেন ধর্মসেনা। এলবিডব্লিউর বিরুদ্ধে রিভিউ করলেন মঈন। ‘আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি’ জানাল, বল প্যাডে লাগার আগে পাখির পলকের মতো ছুঁয়ে গেছে ব্যাটের নিচের দিকে। ব্যাটে লেগে প্যাডে, মানে নটআউট!
লাঞ্চের পর প্রথম ওভার। এবারও আক্রমণে সাকিব। দায়িত্বে ধর্মসেনা। স্ট্রাইকিং প্রান্তে? কে আবার, মঈন!
দ্বিতীয় বলে আবারও জোরালো আবেদন। উঠে গেল আঙুল। আবারও রিভিউ। এবার দেখা গেল, বল এতটাই টার্ন করেছে, মিস করত লেগ স্টাম্প। হক আই প্রযুক্তি এবার হতাশ করল বাংলাদেশকে।
ওই ওভারের চতুর্থ বলেই আবার রিভিউ। আগের সব চিত্রনাট্য মেনে এবারও তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হওয়া রিভিউয়ে। এবার দেখা গেল, প্যাডে লাগার সময় বলটা ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। এবারও বেঁচে গেলেন মঈন। ছয় বলের মধ্যে তিনবার আউট হয়েও ঘোষিত হলেন নটআউট!
পরের ওভারেই অবশ্য জো রুটকে আউট করে এই জুটি ভেঙেছেন অভিষেকেই চমক দেখানো অলরাউন্ডার মেহেদী। ৩৩ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৮৯। তবে মঈন কিন্তু এখনো আছেন। কই মাছের প্রাণ নিয়ে!