হজ ফ্লাইট শেষ হলেও চলতি বছর হজে গিয়ে ৩ হাজার ৬২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব থেকে ফিরে আসেননি। গত ১৭ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফিরতি হজ ফ্লাইট শেষ হয়েছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শেষ হয়েছে ২০ অক্টোবর।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকা-সৌদি আরবে চলাচলকারী নিয়মিত ফ্লাইটে কিছু হাজি ফিরছেন।
প্রতি বছরই হজে গিয়ে কিছু লোকের ফেরত না আসার ঘটনা ঘটে। এরা পালিয়ে গিয়ে সৌদি আরবে অবৈধভাবে কাজ-কর্মে জড়িয়ে পড়েন। এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে কিছু হজ এজেন্সি। পাঠানো হজযাত্রীর মধ্যে ২ শতাংশের বেশি লোক ফেরত না এলে তা আদমপাচার হিসেবে গণ্য হয়।
প্রতি বছরই এ অভিযোগে হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হজ শেষে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৮ হাজার ১৩৭ জন হাজি ফিরে এসেছেন। এ বছর হজে গেছেন মোট এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সমানহারে হজযাত্রী পরিবহনের কাজটি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বলেন, ‘কিছু কিছু লোক সিডিউল ফ্লাইট ও থার্ড ক্যারিয়ারে আসছেন। থার্ড ক্যারিয়ারে যারা ফিরছেন তাদের তথ্য আমরা ২৫ অক্টোবরের দিকে পাব।’
সচিব বলেন, ‘এবার হজে গিয়ে থেকে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) বাইরে সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তবে সেখানে থেকে গেছে এখনও এমন কোন রিপোর্ট পাইনি। সৌদি ইমিগ্রেশনও ফিরে না আসাদের বিষয়ে ২৫ অক্টোবরের পর আমাদের তথ্য দেবে।’
দায়িত্বে অবহেলায় হজ গাইডদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
এবার হজে অনেক হজ গাইডের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ধর্ম সচিব বলেন, ‘সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা অনেক হজ গাইডকে আমরা চিহ্নিত করেছি। যে সব গাইড নিজের দায়িত্ব পালন করেননি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশের হজযাত্রীরা ছোটখাটো কিছু সমস্যা ছাড়া চলতি বছর ভালভাবে হজ পালন করতে পেরেছে জানিয়ে আব্দুল জলিল বলেন, ‘হজ ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ব্যবস্থা এবারও বহাল থাকবে। আশা করি এ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো আগামীতে আর থাকবে না। এবার কোটা অতিরিক্ত প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীরা আগামী বছর হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।’
হজের কোটা কমানো হবে না
এ বছর মসজিদুল হারামের সংস্কার কাজের জন্য সৌদি সরকার বিভিন্ন দেশের হজের কোটা কমিয়েছে জানিয়ে ধর্ম সচিব বলেন, ‘আশা করছি হজ পালনে আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের কোটা কমানো হবে না। জনসংখ্যা অনুযায়ী কোটা বহাল রাখা হলে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার জন হজে যেতে পারবেন।’