নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ ভাঙ্গাচোরা জনদুর্ভোগ সড়কের অবশেষে সংস্কার কাজ শুরু। নবীনগর উপজেলার নবীনগরবাসির ঢাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক নবীনগর টু কোম্পানীঞ্জ সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার(১২/১০) ১৭ কিলোমিটার সড়কের নবীনগর-বাংগরা অংশের ১১ কি: মি: রাস্তার বিটুমিনাস ওভারলেইং কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: ফাইজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। জিনদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্তে বক্তব্য রাখেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ আহমেদ, চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, চেয়ারম্যান মো: মুছা, আ;লীগ নেতা এডভোকেট শিবশংকর দাস, জসিম উদ্দিন আহমেদ জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান , আবুল হোসেন, হারুনুর রশীদ মাজহারুল হক চঞ্চল প্রমূখ।
জানা গেছে, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জের ১৭ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটার জুড়েই কোথাও বড় গর্ত, কোথাও ছোট। বিভিন্নস্থানে পিচ ও ইটের খোয়া উঠে এবড়োথেবড়ো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পিচের চিহ্ন নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই জমে ডোবাতে পরিণত হয়। এসবের মধ্যেই দুখে দুখে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান। এতে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। নবীনগর সদর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়ার একমাত্র পথ নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক। এ সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশ ব্যবহার করে উপজেলার সোহাতা মোড় হয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও ঢাকায় যাওয়া যায়। প্রতিদিন এ পথে বাস, ট্রাক, অটোরিকশাসহ প্রায় দুই হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। নবীনগর ও কুমিল¬া মুরাদনগর উপজেলার প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি ১৭ কিলোমিটার। সড়কের প্রস্থ ১২ ফুট। এর মধ্যে নবীনগর থেকে মালাই বাঙ্গারা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায়। আর কোম্পানীগঞ্জ থেকে গাজীর হাটা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পড়েছে কুমিল¬ার মুরাদনগর উপজেলায়। সড়কটির নবীনগর থেকে বাঙ্গারা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক জুড়েই খানাখন্দ ও ছোট বড় গর্তের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সওজের ভাষ্য, দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর আগের এই সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তার দুপাশে মাটি ফেলে সড়কটির প্রশ্বস্ততা ১২ থেকে ১৮ ফুট করা হয়েছে। কুমিল¬ার মের্সাস হাসান বিল্ডার্স এন্ড হক এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন।কিন্তু অজ্ঞাত কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি জুলিয়ে রেখেছে। তবে কুমিল¬ার কোম্পানীগঞ্জের ছয় কিলোমিটার অংশের সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সড়কের দুপাশে পাশে মাটি ফেলে রাস্তা প্রশ্বস্থ করায় সড়কে উভয় পাশ দিয়ে যান চলাচল করে বেশি। কোনো কোনো স্থানে সড়কটির প্রশ্বস্থতা ১২ফুটের দেখা মিলেনি। রাস্তার ভাঙ্গচোরা ও খানাখন্দের জন্য মাঝে মাঝে সিএনজির চাকা খুলে পড়ে যায় এবং চেসিস ও এক্সেল ভেঙ্গে যায়। প্রায় প্রতিদিন একটি চাকা নষ্ট হয়ই।
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, গত বছর ডিসেম্বর থেকে এই নয় কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ১৭ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এই বছরের ৩০ নভেম্বর এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।