স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের শুরুতে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, তার ইচ্ছে ছিল আগে ফিল্ডিংয়ে যাওয়ার। ম্যাচের শেষে বললেন, “শেষের দিকে শিশির এত বেড়ে গেল যে আমাদের স্পিনাররা বল ঘুরাতেই পারছিল না।” তাহলে এই টস আর শিশিরের কাছেই তো ইংল্যান্ডের কাছে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটা হেরে গেল ৪ উইকেটে। সেই সাথে সিরিজটা হারলো ২-১ এ। টানা ৫ সিরিজ জয়ের পর হারতে হল মাশরাফিদের।
চট্টগ্রামের আবহাওয়া গত কদিন ছিল ভারী। উইকেট বেশির ভাগ সময় থেকেছে কাভারে ঢাকা। বুধবারের ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগেও হয়েছে বৃষ্টি। বাংলাদেশের লাক মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেট তাই ছিল অন্যরকম।
ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে তাই টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে ভাবতে হয়নি একটুও। টানা তৃতীয় টস হারের আফসোস মাশরাফির। এরপর লড়ে ৬ উইকেটে ২৭৭। এই স্টেডিয়ামে জিততে এমন রান সবসময় যথেষ্ট। কিন্তু ১৩ বল বাকি থাকতে সেই রান টপকে ট্রফি জিতেছে ইংল্যান্ড।
আদিল রশিদ, মঈন আলির মতো স্পিনাররা ভালো টার্ন পেলেন আগে বল করে। কিন্তু সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসির হোসেনরা শুরুতে কিছুটা সুবিধা করতে পারলেও পরে আর পারলেন না। ২৯ ওভারের পর তাই অধিনায়ক মাশরাফিকে পেসারদের ওপরই নির্ভর করতে হল বেশি। সাকিব এর পর আরো দুই ওভার বল করলেও কোটা পুরণ করতে পারেননি। ৮ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। উইকেট পাননি। নাসির ৭ ও মোসাদ্দেক ৪ ওভার বল করেছেন। শেষ ১১ ওভারে স্পিনার আনার কথা ভাবাও যায়নি।
শিশির আর টস। লড়াইয়ে ফিরেও শেষ পর্যন্ত বোলাররা শেষ ধাক্কাটা তাই আর দিতে পারলেন না ইংল্যান্ডে। ম্যাচ শেষে হতাশা নিয়েই মাশরাফিকে কথার ইতি টানেন এভাবে, “ইংল্যান্ড অনেক ভালো খেলেছে। আমরাও খুব ভালো খেলেছি। তরুণ খেলোয়াড়রা উঠে এসেছে। ইমরুল ও তামিম ভালো খেলেছে। মুশফিক ফর্মে ফিরেছে।”
ইংলিশদের চোখে চোখ রেখে ওয়ানডে সিরিজে লড়ার পর এবার টেস্টের প্রস্তুতি টাইগারদের। ২০ তারিখ চট্টগ্রামেই শুরু ২ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। সেখানে অবশ্য মাশরাফি থাকবেন না। টেস্ট খেলা হয় না তার। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের টেস্টে ভালো কিছু দেখার অপেক্ষা এখন।