বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় হাই স্কুল ও কলেজগুলোতে প্রাইভেটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভিন্ন ধরনের বাণিজ্য।
সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানা ও নদী বন্দর হিসেবে আশুগঞ্জ ধীরে ধীরে খ্যাতি অর্জন করলেও কিন্তু এবার অতি অল্প সময়েই অন্য একটি বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পাবে।
ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজে এই বাণিজ্যের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।এই কলেজের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার জনাব রাশেদ মোশারফ এর জরিপ অনুযায়ি প্রত্যকটা ছাএ-ছাএীদের কাছ থেকে নির্ধারিত মাস শেষে ১২০০ টাকা করে আদায় করেন।
সমসাময়িক ইন্টারমিডিেয়ট দ্বিতীয় বর্ষের ছাএ-ছাএীরা এর ভুক্তভোগি বলে জানা যায়।জৈনক ছাএ কামরুল হাসান বলে,সামনে এইচ.এস.সি টেস্ট পরিক্ষা শুরু হবে যে পরিক্ষায় ফেল করাবে বলে আমরা প্রাইভেট পরছি।তাছাড়া দুই মাসের বেতন একমাস পড়েই পরিশোধ করতে হচ্ছে আমাদের।একমাস ও নয় সপ্তাহে তিন দিন যার পরিমান ১২ দিন শেষে ১২০০ টাকা।বাড়ি থেকে কোচিং করার নামে টাকা এনে তা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
যারা এতো টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে পারছে না তারা ইংরেজিতে ফেল করার আশংকয় রয়েছে বলে জানায় ফিরোজ মিয়া কলেজের অন্যান্য ছাএ – ছাএীরা।
ফিরোজ মিয়া কলেজের ছাএী খাদিজা আক্তার বলে,আমরা প্রাইভেট পরছি পরিক্ষা পাশের জন্য যার ফলে মাস শেষ ১২০০ টাকা দিতে হচ্ছে কিন্তু এতো টাকা বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে অনেক ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে কামরুলের ভাই কাজল মিয়া বলেন,সামপ্রতিক সময়ে কামরুল নাকি কোচিং করছে এবং মাস শেষে ১২০০ টাকা দিতে হচ্ছে তাকে। ১৩ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক জনাব মুজিবর রহমান বলেন,যারা কলেজের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ছাএ- ছাএীদেরকে প্রাইভেটের দিকে আকৃষ্ট করছে, পাবলিক পরিক্ষায় কলেজের রেজাল্ট খারাপ হলে তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে ও একই দৃশ্যের অবতারণা হয় যা মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য খুবই বিরক্তিকর ও ভোগান্তিকর।
অন্যদিকে সরকারি ভাবে প্রত্যকটা বিষয় প্রতি ১৫০ টাকা করে নেওয়ার আইন তৈরি করা হয়।