সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : সরাইলে সন্ধ্যা রাতেই ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে অটোরিকশা যাত্রী আশিস দাস (১৯)। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের বড্ডা পাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের কবলে পড়া আশিস ও চালক সুমন জানায়, আশিস দাস কালিকচ্ছ নন্দিপাড়ার তপি দাসের ছেলে। আর অটোরিকশা চালক সুমনের (১৭) বাড়ি সরাইল। আশিস বিশ্বরোডে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে। অন্যান্য দিনের মত আশিস মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কাজ শেষ করে সরাইল থেকে অটোরিকশায় করে কালিকচ্ছের দিকে রওনা দেয়। বড্ডাপাড়া শ্বশানের কাছে যাওয়া মাত্র মুখোশ পড়া ৬-৭ জন ডাকাত আশিসকে বহনকারী অটোরিকশাটি আটক করে। তাদের হাতে রামদা বল্লম চাপাতি সহ নানা ধরনের ধারালো অস্ত্র ছিল। ডাকাতরা প্রথমে চালক সুমনকে মারধর করে আহত করে। পরে আশিসকে এলোপাতাড়ি কূপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা ও ১৫-১৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি মুঠোফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সড়কে চলাচলরত অন্য অটোরিকশার যাত্রীরা তাদেরকে সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে স্বজনদের খবর দেয়। সরাইল থেকে আশিসকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আশিসের অবস্থার দ্রুত অবনতি দেখে সেখানকার চিকিৎসক তাকে রাতেই ঢাকায় প্রেরন করেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সরাইল থানার এক কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে এ সড়কে কে দায়িত্ব পালন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল পুলিশ পুজার ডিউটিতে ব্যস্ত। এ সড়কে কেউ নেই। ডাকাতির ঘটনা বলার পর তিনি তড়িগড়ি করে বলেন, এখনই পুলিশ রওনা দিচ্ছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ রুপক কুমার সাহা বলেন, ডাকাতির ঘটনা আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব। প্রসঙ্গতঃ দীর্ঘদিন পর আবার হঠাৎ ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, রসুলপুরের মানিক ডাকাতের ভাই সহ বেশ কয়েকজন ডাকাত জামিনে এসেছে। আবার কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া ও আশপাশের কয়েকজন ডাকাতও জামিনে এসেছে। তারাই এখন আবার সংঘটিত হয়ে ডাকাতি করছে।