আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সিরিয়ার দলত্যাগী আইএস সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য গোপনে বন্দিশিবির তৈরি করেছে দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। জয়েশ আল তাহরির নামের ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ক্যাম্পটিতে প্রায় ৩০০ দলত্যাগী আইএস সদস্য এবং তাদের হাতে বন্দি আইএস সদস্যরা রয়েছে। এদের মধ্যে অনেক ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিষয়টি নিয়ে জয়েশ আল তাহরির-এর কমান্ডার মোহাম্মদ আল ঘাবি’র সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তিনি জানান, নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হিসেবে কিছু ইউরোপীয় বন্দিকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যদের শরিয়া আদালতে বিচার হবে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে।
জয়েশ আল তাহরির-এর কমান্ডার মোহাম্মদ আল ঘাবি বলেন, তারা ইউরোপ, আরব সব জায়গা থেকেই এসেছে। আমরা তাদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করছি। যারা চলে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের আমরা স্ব স্ব দেশের দূতাবাসে যোগাযোগের অনুমতি দেই। এ ব্যাপারে আমরা তাদের সহায়তা করি।
এদিকে পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সিরিয়ার দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানা হচ্ছে না। কয়েক দিনের প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর তারা ওই চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, উত্তর-পশ্চিমের ইদলিব প্রদেশে গত ৬ অক্টোবর থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আহরার আল-শাম ও আরেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জুনদ আল-আকসা। এ লড়াই থামাতে সম্প্রতি চুক্তি হয়। কিন্তু চুক্তির পরদিনই তাদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড লড়াই বাধে। অবশ্য এ লড়াইয়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অতীতে এ দুই গোষ্ঠী মিলেমিশে কাজ করেছে। দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অভিযোগ, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জুনদ আল-আকসার যোগাযোগ রয়েছে। আর আইএস সিরীয় বিদ্রোহীদের নিশানা করছে।