সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: গাজীপুরে নিহত ৯ জঙ্গির ৭ জন ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিজের লোগোগাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি সাইফুল ইসলামের বাবা মতিউর রহমান ময়না শাহ বলেছেন, ‘জঙ্গিরা দেশের শত্রু ও দশের শত্রু।ওর লাশ আমি নেবো না। যারা আমার ছেলেকে জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪ টায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের কাছে নিহত তিন জঙ্গির নাম প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন সিলেটের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মনিরগাতি গ্রামের সাইফুল ইসলাম। সে মতিউর রহমান ময়না শাহ ও হুসনে আরা দম্পতির একমাত্র ছেলে। তার ছোট দুই বোন লেখাপড়া করে। সাইফুল গত দুমাস ধরে নিখোঁজ ছিল বলে জানান তার বাবা।সে মনিরগাতি থেকে প্রাইমারি পাস করে পীরপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও সিলেটের রায়নগরের সার্ক ইন্টার ন্যাশনাল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। পরে অনার্সে ভর্তি হতে কোচিং করতে ঢাকা যায়। ঢাকায় গিয়ে সে বাড়ির সঙ্গে সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সে এলাকায় সাইফুল রহমান বাবলু নামে পরিচিত।
গাজীপুরে নিহত জঙ্গিদের ছবি দেখে সাইফুলের বাবা জানান,নিহতদের ছবির মধ্যে তার ছেলের ছবির মিল রয়েছে। তিনি তার ছেলের লাশ আনতে ঢাকায় যাবেন না।
দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী বলেন, ‘ছাত্র জীবনে কলেজে পড়ার সময় সে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। তবে সে কোন দল করতো তা জানতাম না।রাজনীতি থেকে সে এপথে পা বাড়ায়। এলাকায় সাইফুল ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল।’
এদিকে পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ছেলেটির ছবি ও নামের সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাতারটেকের সোলেমানের বাড়িতে অভিযান চালায় সোয়াত ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। শরতের তুফান নামে ওই অভিযানে গোলাগুলিতে সাত জঙ্গি নিহত হয়।