নিজস্ব প্রতিবেদক : কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালান রোড থেকে ‘হায় হোসেন’ ‘হায় হোসেন’ ধ্বনিতে হাজারো অনুরাগীর অংশগ্রহণে তাজিয়া মিছিলটি শুরু হয়। ধানমন্ডির রাইফেলস স্কয়ারে এই মিছিল শেষ হওয়ার কথা। মিছিলটির আয়োজন করেছে হোসনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটি।
গত বছর আশুরার আগের রাতে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় এবার এ মিছিল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মিছিলের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। গত বছর তাজিয়া মিছিলে হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়।
নিরাপত্তার কারণে এবার তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হোসনি দালান এলাকা থেকে তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র বহনের অপরাধে ১৪ জন ‘পাইক’কে আটক করে চকবাজার থানার পুলিশ। তাজিয়া মিছিলে ‘হায় হোসেন’ মাতম তুলে যারা দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি নিয়ে নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করে, তাদের পাইক বলা হয়।
তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী শাহ ফিরোজ হোসাইন নামে আয়োজকদের একজন প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সকাল ১০টায় হোসনি দালান রোড থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে মিছিলটি রাইফেলস স্কয়ারে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিশেষ মোনাজাত শেষে তবারক বিতরণ করা হবে।
হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। কারবালার বিয়োগান্ত সেই ঘটনাকে স্মরণ করে শোক ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে এই দিনে তাজিয়া মিছিল, বিশেষ মোনাজাত, কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালন করা হয়।