নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে খাদিজা নিজে নিজেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারবেন কিনা। চিকিৎসকরা এমনটাই জানিয়েছেন নার্গিসের মামা আব্দুল বাসেত। রাত ৮.৫০ মিনিটে আবাসিক ‘হোটেল ইমেজ’এ আব্দুল বাসেতের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
তিনি জানান, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে খাদিজাকে ডান হাত-পা নড়াচড়া করতে দেখেন। মাঝে মধ্যে ডান চোখও মেলে তাকায়। তবে তার আশঙ্কা স্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে যেতে পারে খাদিজার বাম হাত-পা ও চোখ। একটু স্বাভাবিক হলে বাম হাতের অপারেশন করবেন চিকিৎসকরা। এখন শুধু তার মাথার জখমের চিকিৎসা চলছে।
বাসেত বলেন, ইলেকটিভ ভেন্টিলেশনের মাত্র কমিয়ে রাখা হয়েছে। মুখ থেকে অক্সিজেনের নল খুলে খাদিজার গলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা এখন ৫ ভাগ থেকে ৫০ ভাগে উন্নিত হয়েছে।
নিউরো সার্জন এ এম রেজাউস সাত্তার তাদেরকে (বাসত) জানিয়েছেন আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে খাদিজাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করার চেষ্টা করবেন। যদি খাদিজাকে কৃত্রিম সাহায্য ছাড়াই শ্বাস নিতে পারেন, তাহলে তাকে সেভাবেই রাখা হবে। এরপর তাকে কেবিনে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করবেন।
সোমবার খাদিজার গলায় অক্সিজেনের নল স্থাপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে নার্গিসকে লাইফ সার্পোট থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. রেজাউস সাত্তার।
খাদিজাকে চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান কিনা জানতে চাইলে বাসেত বলেন, চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত এবং সরকার সাহায্য করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে ইচ্ছুক। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই আশাকরি এ ব্যাপারে সমস্যা হবে না।