নিজস্ব প্রতিবেদক : রোববার (০২ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও ইসি সচিবালয় খুলে রাখা হয়েছে এদিন।
এনআইডি উিইং মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সুলতানুজ্জামান বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভ ডটকমকে জানান, স্মার্ট কার্ড বিতরণের সব কাজ প্রায় শেষ, কালকের অনুষ্ঠান যেন ঠিক মত পরিচালিত হয় সে জন্য আমরা সবাই নিজের জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, কাল প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট কার্ড উদ্বোধন করার পর পরেরদিন ৩ অক্টোবর থেকে সাধারণ নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া শুরু হবে। প্রথমে ঢাকার চারটি ওয়ার্ডকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিয়েছি। এগুলো বিতরণে কী কী সমস্যা হতে পারে তা চিহ্নিত করে পরবর্তীতে বড় আকারে বিতরণ কার্যক্রমে যাবো।
সুলতানুজ্জামান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের সেবার বিষয়ে তথ্য জানাতে হেল্প ডেস্ক রাখা হয়েছে। নির্ধারিত নম্বরে কল করলে নাগরিকদের তথ্য জানাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তারা। স্মার্টকার্ড বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে কল করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকালের কর্মসূচি সম্পর্কে ইসির সচিব সিরাজুল ইসলাম বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভ ডটকমকে বলেন, রোববার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্মার্টকার্ডটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কার্ড তার হাতে তুলে দেবেন সিইসি। পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের স্মার্টকার্ড হস্তান্তর করে বক্তব্য রাখবেন।
বিকেলে রাষ্ট্রপতির স্মার্টকার্ডটি বঙ্গভবনে সিইসি ও অন্য কমিশনাররা তার সঙ্গে সাক্ষাত করে হস্তান্তর করবেন।
প্রসঙ্গত, স্মার্টকার্ড দিয়ে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হল:- আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রাপ্তি ও নবায়ন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকুরির জন্য আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় ও বিক্রয়, ব্যাংক হিসেব খোলা ও ঋণ প্রাপ্তি, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য, সহায়তা প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমান বন্দরে ই-গেট এর মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা, শেয়ার আবেদন ও বিও একাউন্ট খোলা, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ গ্রহণ, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকেটিং, সিকিউরড ওয়েব লগ ইন, ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজন ইত্যাদি।