লাইফস্টাইল ডেস্ক :বস মানেই বিভাগের সব কর্মীর নেতা। তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাবেন কর্মীরা। কিন্তু স্রেফ কাজ ধরিয়ে দিয়ে বস অদৃশ্য হয়ে থাকলে দল কিভাবে এগোবে? তাঁর কাছ থেকে নেতৃত্বসুলভ নির্দেশনা আশা করেন কর্মীরা। কর্মীরা ঠিকঠাকমতো কাজ করতে পারছেন কি না সে বিষয়ে বসের নজরদারি আশা করেন কর্মীরা।
* যোগাযোগ
ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এলেই কর্মীদের এই অভিযোগটি পাওয়া যায়। তাঁরা বসদের সঙ্গে প্রয়োজনমাফিক যোগাযোগই করতে পারেন না। লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কাজের শেষ সময় এবং অন্যান্য বিষয়ে বসের পরামর্শ দরকার হয়। বসের সঙ্গে আলাপ করা কর্মীদের জন্য অতি জরুরি হয়ে ওঠে। আর সেখানেই যোগাযোগের উপায় মেলে না। তাই কর্মীরা এমন বস চান যাঁর সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।
* বাইরের চাপ নিয়ন্ত্রণ
যোগ্য বসরা তাঁর অধীন কর্মীদের বাইরের চাপ থেকে সামলে রাখেন। এ অবস্থা বিচিত্র কিছু নয়। কর্মীরা প্রায়ই নিজ বিভাগ বা দায়িত্বের বাইরে থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত চাপের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাঁদের এই দুরবস্থা থেকে মুক্ত রাখার দায়িত্ব বসদের ওপরই বর্তায়।
* উৎসের সন্ধান
কর্মীদের যেকোনো প্রয়োজন মেটানোর দায়ভারও বসদের ওপর ন্যস্ত। দায়িত্ব পালনে কর্মীদের যা প্রয়োজন এর সরবরাহ দিতে হবে। জিনিসপত্র বা তথ্য বা যেকোনো প্রয়োজন মেটানোর উেসর সন্ধান বসদেরই রাখতে হবে।
* সংযুক্তি
আদর্শ বসরা সবার সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে সহায়তা করেন কর্মীদের। যাঁরা সুষ্ঠু উপায়ে কাজটি করতে চান তাঁদের সঙ্গেও সংযোগ ঘটান বসরা।
* প্রশংসা
ছোট একটি ধন্যবাদ অনেক বড় কিছু বয়ে আনতে পারে। কর্মীরা আশা করেন তাঁর স্বীকৃতি। সফলতায় যোগ্যদের প্রশংসা করা উচিত বসদের। এর জন্য বেশি কিছু আশা করেন না কর্মীরা। সামান্য ধন্যবাদই যথেষ্ট।
* প্রশিক্ষণ
প্রত্যেক কর্মীই ওপরের দিকে উঠতে চান। আর এ কাজে তাঁদের সহায়তা করা উচিত। কর্মীদের যার যার দায়িত্ব পালনে নানা পরামর্শ দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁদের দক্ষ করে তোলা যেতে পারে। সেমিনার বা অনলাইন কোর্সের ব্যবস্থা করতে পারেন তাঁরা।
* বিশ্বাস
যাঁরা বিশ্বস্ত কর্মী, তাঁরা আশা করেন বস তাঁদের ওপর বিশ্বাস আনবেন। এটা মানসিক তৃপ্তির বিষয়। যোগ্য ও বিশ্বস্ত কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট বা দায়িত্ব দিয়ে দেখতে পারেন বস। তাঁর এ ধরনের পদক্ষেপে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তাঁদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণাও সীমাহীন হয়ে ওঠে।