আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের কাছে ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ওপর হামলা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে বলে সিরীয় সেনাবাহিনীর এক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই এ হামলা হলো।
অসমর্থিত একটি সূত্রে জানা গেছে, আলেপ্পোর উরম আল-কুবরা শহরে ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, ১৮ থেকে ৩১টি ত্রাণবাহী গাড়ির ওপর হামলা হয়েছে। তবে এর ওপর বিমান হামলা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া হয়নি।
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস দাবি করেছে, সিরীয় সরকার এবং রুশ যুদ্ধবিমান ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় ত্রাণকর্মী, ট্রাকচালকসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন।
সিরীয় সরকার হামলার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টেফান ডি মিসটুরা একে ‘চরম নিষ্ঠুরতা’ বলে বর্ণনা করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে পাঠানো এক ই-মেইলে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি শেষে ওই ত্রাণবহর প্রস্তুত করা হয়েছিল।
স্টেফান ডি মিসটুরার মানবিক সহায়তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যান এগল্যান্ড বলেন, উরম আল-কুবরা শহরে ৭৮ হাজার মানুষের ত্রাণ প্রয়োজন। শহরটির একটি গুদামের পাশে মালামাল নামানোর সময় হামলা হয়।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সিরিয়া অঞ্চলের প্রধান ইনজি সেদকি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আরেকবার এই সংঘাতের শিকার হলো মানবিক সহায়তা কার্যক্রম।
ত্রাণবহরের ওপর হামলার ঘটনা এমন স্থানে হয়েছে, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। তবে ওই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য সিরিয়ায় আসাদের অনুগত বাহিনী ও বিদ্রোহীরা একে অপরকে দায়ী করছে।