নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী ও দেশের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আউং সান সু চির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত এই দুই নেতা স্থানীয় সময় সোমবার সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দুই নেত্রী বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
সোমবার সকালে নিউ ইয়র্কে প্রথম কর্মসূচিতে জাতিসংঘের সদর দফতরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের প্ল্যানারি বৈঠকে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। এরপর তাঁর সঙ্গে সু চির বৈঠক হয়। শেখ হাসিনার সঙ্গে সু চির বৈঠকে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের শরণার্থী নিয়ে সমস্যা রয়েছে। দেশটির ৫ লাখের বেশি মুসলিম নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে কয়েক দশক ধরে।
কানাডা সফর শেষে রবিবারই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছন শেখ হাসিনা। বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩ মার্চ মায়ানমারে সু চি-র সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে মিয়ানমার গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ও সু চিকে বৈঠকে আন্তরিকভাবে কথা বলতে দেখা যায়। দুজনের বাবাই ছিলেন প্রতিবেশী দেশ দুটির স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হয় বলে পিআইডি জানিয়েছে।
দীর্ঘ সামরিক শাসনের অবসানের পর মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরলেও সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান হতে পারেননি সু চি। তিনি উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।