নিউজ ডেস্ক : নিরাপত্তা ও তল্লাশির স্বার্থে ঈদগাহে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনতে মুসল্লিদেরকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। এমনকি বেশি বৃষ্টি না হলে ছাতা না আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঈদের আগের দিন সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার শাহাবউদ্দিন কোরেশি।
ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জানান, ঈদের জামাত উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।এ জন্য থাকছে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ও ডগ স্কোয়াড।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ও কমান্ডো ইউনিটের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, সব ঈদগাহে মেটাল ডিটেক্টর, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তিনধাপে তল্লাশি হবে। তল্লাশি চৌকিতে কোনো ব্যাগ নিতে দেয়া হবে না। বৃষ্টি না হলে ছাতা পরিহার করতে অনুরোধ করছি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানের আশেপাশে চারটি পয়েন্ট- কাকরাইলের ইউসিবিএল ক্রসিং, দোয়েল চত্বর, মৎস ভবন ও রেলওয়ে হাসপাতাল পয়েন্টের পর কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
ঈদগাহ ময়দানের আশেপাশে এবার ভিক্ষুক ও হকার বসতে দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদ ও পরবর্তী সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তার জন্য মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। সেখানে পুলিশের যাকে সন্দেহ হবে তাকে তল্লাশি করা হবে। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা মোতায়েন থাকবে।
এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জামাতের জন্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পুরা ময়দানে টাঙানো হয়েছে সামিয়ানা। মুসুল্লিদের নামাজ পড়ার জন্য মাটিতে বিছানো হয়েছে বিছানো ত্রিপল ও কার্পেট। স্থাপন করা হয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্র।
মঙ্গলবার এখানে ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ সরকার ও রাষ্ট্রের গণমান্য ব্যক্তিরাও এখানে নামাজ আদায় করবেন।
সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার কথা মাথায় রেখে এবার জাতীয় ঈদগাহের প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে ডগ স্কোয়াগ। গত দুই দিন ধরেই তারা মাঠে তল্লাশি চালিয়েছে। এবার ঈদে দায়িত্ব পালন করবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলও।