ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের একজন শীর্ষস্থানীয় আমলা তার তেরো বছরের মেয়েকে নিয়মিত শ্লীলতাহানি করে গেছেন বলে তার স্ত্রী প্রকাশ্যে অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগের সমর্থনে নিজের নির্যাতিতা মেয়ের লেখা একটি চিঠিও প্রকাশ করেছেন ওই মহিলা।
ইমেইলে লেখা চিঠিতে মেয়েটি বিশদে বর্ণনা দিয়েছে, কিশোরী বয়সে কীভাবে তাকে দিনের পর দিন বাবার হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিল।
ওই আমলা অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা এই সব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। ওই আমলা গত দু’বছর ধরেই তার স্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন। তার স্ত্রীও তার বিরুদ্ধে মারধর ও নিষ্ঠুরতারও একটি মামলা করেছেন আগেই।
তবে স্ত্রী রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে যে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন, তা চমকে দিয়েছে গোটা দেশকে। তার মেয়ের লেখা একটি চিঠিকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেছেন, তার স্বামী নিজের মেয়েকে দিনের পর দিন ধরে যৌন লাঞ্ছনা করে গেছেন।
ওই চিঠিটিতে মেয়ে লিখেছেন, “আমি চিরকালই আমার বাবার কাছে ছিলাম একটা বোঝার মতো। আমার জন্য যে প্রতিটা টাকা তিনি খরচ করেছেন, তার প্রতিটার জন্য চরম দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনা আমাকে সইতে হয়েছে।”
“আমি বলতে লজ্জিত বোধ করছি, যখন আমি স্কুলে পড়ি, তেরো বছর বয়স – তিনি আমার ঘরে এসে আমার শরীরের অশোভন জায়গায় স্পর্শ করতেন।” আমি প্রায় দু’বছর ধরে এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছি, বুঝতে পারতাম না কী করব বা কাকে বলব। সারা রাত ধরে আমি শুধু কাঁদতাম!
যদিও এই ই-মেইলটি এপ্রিল মাসে লেখা, স্ত্রী বলেছেন, তিনি এটি এখন প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছেন – কারণ প্রভাবশালী ওই আমলার বিরুদ্ধে মামলা একেবারেই এগোচ্ছে না।
পিতা অবশ্য দাবি করেছেন, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। ভারতের একটি পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, গত সাত-আট বছর ধরেই তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে নানা ধরনের মনগড়া অভিযোগ এনে যাচ্ছেন।
তবে যে পক্ষই সত্যি বলুক, নিজের বাবার বিরুদ্ধে একজন মেয়ের আনা এই মারাত্মক অভিযোগ যে ভারতকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।