নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার আজিমপুরের সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া তিনটি শিশুর মধ্যে একটি নিহত জঙ্গি মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের বড় মেয়ে (৭) বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে ওই বাসায় অভিযানের পর খবর বেরিয়েছিল আহত তিন নারীর একজন মেজর জাহিদের স্ত্রী। তবে এখন পুলিশ বলছে, ওই তিন নারীর মধ্যে কেউই মেজর জাহিদের স্ত্রী নন।
শনিবারের অভিযানের পর ওই বাসা থেকে উদ্ধার তিন শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই বাসাতেই মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহারও (শিলা) ছিলেন, বিপদ আঁচ করতে পেরে তিনি এক বছরের সন্তানকে নিয়ে কেটে পড়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে মেজর জাহিদের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, যে তিনজন মহিলাকে আজিমপুরে পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে আমার ভাবি নেই। তবে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আমার ভাইয়ের মেয়ে আছে বলে শুনেছি। পুলিশ এখনো আমাদের ফরমালি কিছু জানায়নি।’
২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত হন জঙ্গি মেজর জাহিদ। এরপর থেকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের খুঁজলেও পাচ্ছিল না পুলিশ।
এদিকে শনিবার পুলিশের অভিযানের পর আজিমপুরের ওই বাড়ি থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় আহত তিন নারীকে। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি এবং এই তিন নারী নব্য জেএমবির সদস্য। ওই তিন নারীর ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে তাঁদের কোনো স্বজন বা পরিচিতজন আসেননি।
রোববার পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির পরিচয়ও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, নিহত জঙ্গির আঙুলের ছাপ নিয়ে তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেছে, তাঁর নাম শমসেদ। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার মেহেরচণ্ডী গ্রামে। তাঁর সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম। প্রথম আলো