বিনোদন ডেস্ক : দুনিয়া-কাঁপানো বিকিনি-মডেল যখন সন্ন্যাস নিলেন, তখনই তোলপাড় একটা পড়েছিল! তার পর যখন সন্ত গাইয়া সোফিয়া তীর্থ পরিক্রমায় বেরিয়ে দাবি তুললেন তিনি শিব ঠাকুরকে জন্ম দিয়েছেন, তখনও শোরগোলও নেহাত কম হয়নি! পাশাপাশি, উঠে এসেছিল সোচ্চার ধিক্কার- সন্ন্যাসের নামে এ সবই ব্যবসায়িক খেলা! সবাই সন্দেহও প্রকাশ করেছিলেন গাইয়া সোফিয়ার ভাবমূর্তিটি নিয়ে!
খুব সম্ভবত তারই জবাবে এবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন সন্ন্যাসিনী। উদ্দেশ্য, জনসমক্ষে তাঁর ভাবমূর্তিটি স্পষ্ট করা! সবাইকে জানিয়ে দেওয়া, তাঁর আসল চেহারাটি কীরকম!
ভিডিও দেখা গেল সন্ন্যাসিনীরূপী সোফিয়াকে। পরনে নামাবলী, মুণ্ডিত মস্তক শ্বেতবসনে আবৃত। তিনি বলছেন, ”নমস্কার, আমি গাইয়া সোফিয়া।”
তার পরেই চমকে উঠতে হয়! কেন না, সন্ন্যাসিনীর বসন পরিত্যাগ করে সোফিয়াকে দেখা যাচ্ছে বিলাসিনী নারীর অবতারে। তাঁর অঙ্গে বিলাসী আবরণ, মূল্যবান গয়নায় সেজেছেন তিনি। এবং বলছেন সেই এক কথা- ”নমস্কার, আমি গাইয়া সোফিয়া।”
একে একে সেই ভিডিও নানা রূপে নিজেকে মেলে ধরেছেন সন্ন্যাসিনী। দেখা গিয়েছে বিকিনি-পরিহিতা তাঁর লাস্যময়ী রূপ। এসেছে সলজ্জ নববধূর অবতার। দেখা গিয়েছে তাঁকে পুরুষের সাজেও। মুখে ওই একই কথা- ”নমস্কার, আমি গাইয়া সোফিয়া।”
সবার শেষে এসেছে একটি মুখোশ এবং চলমান আলোকবিন্দু। নেপথ্যে অনুরণিত হয়েই চলেছে তাঁদেরও গাইয়া সোফিয়া হওয়ার দাবি!
ব্যাপারটা কী?
যে যা-ই বলুন, সন্ন্যাসিনী কিন্তু রয়েছেন আধ্যাত্মিক মার্গেই! ভারতীয় দর্শন বরাবরই বলে এসেছে, দেহ একটা আশ্রয় মাত্র। নিত্য এবং শাশ্বত আত্মা যাতে শুধুই বাস করে! সেই কথা মেনে নিলে সোফিয়াও এক আত্মা বই আর কিছুই নন!
যার আশ্রিত দেহটি নারী, পুরুষ- যা খুশি হতে পারে! সেই নারী হতে পারেন গৃহবধূ বা বারবণিতা! এই যুক্তি মেনেই ভিডিওর শেষে এসেছে আলোকবিন্দুরূপী আত্মার পথ চলা! আপনার কী মনে হয়? ক্লিক করে দেখুন না ভিডিওটা!