অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের আগে প্রতিটি মায়ের উচিত মেয়েকে পারিবারিক কাজকর্ম ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিনীতিতে অভ্যস্ত করা। পরকে আপন করার আন্তরিকতাপূর্ণ মানসিকতা গড়ে তোলা।বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের সবাইকে আপন করে নিতে হয়। সবার প্রতি আন্তরিকতা আপনার শাশুড়ির চোখকে নিশ্চয়ই এড়াবে না।
রাতারাতি হয়তো আপনি আপনার শাশুড়ির প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে তার পছন্দ-অপছন্দগুলোও। তার পছন্দের কাজগুলো করার সুযোগ না পেলেও অন্তত তার অপছন্দের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন।
নতুন বৌ হিসেবে সব মেয়েই কয়েকটা দিন বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। শাশুড়িরাও সে সুযোগ দিতে কার্পণ্য করেন না। আপনি সে সময়টা বুদ্ধিমতীর মতো কাজে লাগান। দেখে নিন, বুঝে নিন নতুন সংসারের কর্মতালিকা। সে অনুযায়ী শাশুড়ির পিছু পিছু থাকতে ভুল করবেন না।
আপনার প্রতিটি দিন হোক শেখার দিন। কোনো কিছু ভুল করার চেয়ে জিজ্ঞাসা করে শাশুড়ি থেকে শিখে নিন। আপনার শেখার আগ্রহে শাশুড়ি বিরক্ত নয়, বরং খুশিই হবেন।
পরিবারের বিশেষ কোনো রীতিনীতি থাকলে তা জেনে নিতে ভুল করবেন না। দেবর-ননদ থাকলে তাদের কাছ থেকে গল্পচ্ছলে জেনে নিতে পারেন। আপনি যখন সেই মতো চলবেন, সেটি শাশুড়ির চোখে আপনার জন্য বাড়তি পাওনা।
কোনো পারিবারিক বা সামাজিক আয়োজনে যোগ দেয়ার আগে শাশুড়ির কাছ থেকে পরামর্শ নিন। সেটি হতে পারে পোশাক কিংবা উপহার-সম্পর্কিত। এতে শাশুড়ি বুঝবেন যে তার মতের গুরুত্ব রয়েছে আপনার কাছে।
সংসারের যে কোনো সমস্যায় অন্য কারও কাছে না গিয়ে শাশুড়ির কাছেই আসুন। সংসার পরিচালনার বহুদিনের যে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা তার থেকে পাবেন, তাতে লাভবানও হবেন। সাহায্য নিতে পারেন শ্বশুরসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকেও। তবে তা যেন কখনোই শাশুড়িকে টপকে না হয়।
নতুন পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে স্বামী তো বটেই, শাশুড়ির সহায়তা পেলে সমস্যার ডালপালা ছড়াবে না। দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে যাবে। শুরুতে শাশুড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু কৌশলী, একটু বোঝার মতো বুদ্ধি থাকতে হবে।স্বামীর সঙ্গে কথা বলে পরিবারের সবার আচরণ জেনে নিন। বড় ভাই বড় ভাবী থাকলে তাদের সম্মান করতে ভুল করবেন না।
কোনো বিষয় না বুঝলে শাশুড়ির কাছ থেকে জেনে নিন। তার পছন্দের বিকালের ধোঁয়া ওঠা কফির কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দার আরাম কেদারার পাশে বসে যেতে পারেন।