নিষ্প্রভ মুস্তাফিজ, হারল হায়দরাবাদ
---
স্পোর্টস ডেস্ক : মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখতে হলো বাংলাদেশের পেস বিস্ময় মুস্তাফিজুর রহমানকে। আইপিএলে আগের ম্যাচগুলোতে তাকে এতটা নিষ্প্রভ লাগেনি যতটা লাগলো বৃহস্পতিবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। মুস্তাফিজের নিষ্প্রভ থাকার রাতে তার দল হায়দরাবাদকেও হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে দিল্লি। পরাজয়ের পরও হায়দরাবাদকে শীর্ষচ্যুত করা যায়নি।
হায়দরাবাদের ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চড়াও ছিলেন দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে কুইন্টন ডি কক হায়দরাবাদের বোলারদের কোনরকম সুযোগই দেননি। মোজেস হেনরিকুইসের বলে নোমান ওঝাকে ক্যাচ দিয়ে যখন তিনি ফিরছিলেন ততক্ষণে তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ৩১ বলে ৪৪ রান। পাঁচ চারের সঙ্গে ছয় মেরেছেন দুটি।
ককের আগে ফিরে যান মানিক আগারওয়াল (১০) এবং করুণ নায়ার (২০)। চতুর্থ উইকেটে তরুণ সনজু স্যামসন এবং ঋসব পন্ট ৭২ রান যোগ করে ১১ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করেন। পন্ট ২৬ বলে দুই চার, তিন ছয়ে ৩৯ ও স্যামসন সমসংখ্যক বলে দুই ছয়ের সাহায্যে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩ ওভারে ১৯ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন হেনরিকুইস। ২৩ রানে ১টি পেয়েছেন আশিস নেহরা। মুস্তাফিজ ৪ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন। চলতি আইপিএলে মুস্তাফিজের এটাই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং ফিগার।
এরআগে ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ান। দুজনে মিলে ৮.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেন ৬৭ রান। জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন যাদব ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে। তার আগে সানরাইজার্স অধিনায়ক খেলেন ৩০ বলে ছয় চার, এক ছয়ে ৪৬ রানের ইনিংস।
৯৮ রানে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন ধাওয়ানও। এই রান করতে তিনি বল খেলেছেন ৩৭টি। চার মেরেছেন তিনটি। এরপর যেখানে রান বাড়ার কথা। সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে রানের গতি কমতে থাকে। যুবরাজ সিং এক ম্যাচ ছাড়া সেভাবে নিজেকে এখনও প্রমাণ করতে পারেননি। এদিন সাকুল্যে ৮ রান করতে পেরেছেন। বাকিদের মধ্যে দীপক হুদা ৯ বলে ১০ ছাড়া কেউই দাঁড়াতে পারেননি।
অমিত মিশ্র ১৯ ও কাটার-নীল ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন যাদব, মোহাম্মদ শামি ও ক্রিস মরিস। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস মরিস।