ঢাকায় এত কষ্ট, জীবন নষ্ট!
---
প্রাণ আছে ঢাকা শহরে। ঢাকার মানুষেরও অফুরন্ত প্রাণশক্তি। নাগরিক জীবনে কত রকমের দুর্ভোগ। নগরবাসীর কাছে সবই যেন তুচ্ছ। চলুন দেখে নিই ঢাকার চিরচেনা কিছু দুর্ভোগের চিত্র। গ্যাস সংকটে নাজেহাল নগরবাসী গত কিছু দিন ধরে ঢাকায় চলছে ভয়াবহ গ্যাস সংকট। আবাসিক গ্যাস সরবরাহ অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু জায়গায় মানুষ বিকল্প উপায়ে রান্নাবান্না করছে, কেউ বা গভীর রাতে একটু গ্যাসের দেখা পেলে তা দিয়েই কোনোরকমে সেরে নিচ্ছেন রান্না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কয়েকদিন আগে ‘তিন দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে’ বললেও সংকট একেবারেই কাটেনি।
প্রধানমন্ত্রী যা বললেন
চলমান গ্যাস সংকট নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়েছে। এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘‘এই সমস্যা প্রতি শীতেই হয়। তবে আমরা বসে নেই। সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি।’’
ঢাকা: বসবাসের জন্য অন্যতম নিকৃষ্ট শহর
২০১৪ সালে বিশ্বের সব শহরের মধ্যে বসবাসের জন্য সবচেয়ে নিকৃষ্ট শহর হয়েছিল ঢাকা। গতবছর সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দুই নাম্বারে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পরেই ছিল বাংলাদেশের রাজধানীর নাম।
পানি সংকটের শহর ঢাকার বড় একটি অংশে পানি সংকট খুব পুরোনো বিষয়। দিন যাচ্ছে, সংকট আরো তীব্র হচ্ছে। পানীয় জলের জন্য পাড়ার টিউবওয়েলের সামনে লম্বা লাইন, গলির কোনো কলের নীচে থালা বাসন ধোঁয়ায় ব্যস্ত নারী – এমন ছবি ফি বছরই পত্রিকায় শোভা পায়।
জলাবদ্ধতার শহর
একটু ভারি বৃষ্টি হলেই শহরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দেখে মনে হয় যেন বন্যা শুরু হয়েছে। পথ চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। নীচু এলাকার ঘর-বাড়িতেও ঢুকে পড়ে পানি।
যানজটের শহর ঢাকা
ঢাকার যানজটের কথা কে না জানে! এক ঘণ্টার পথ যেতে কখনো কখনো তিন-চার ঘণ্টাও লাগে৷
দূষণেরও রাজধানী? শহরের প্রায় সব পুকুর ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে ভবন। ঢাকা প্রায় পুরোপুরিই ইট-পাথরের শহর। ধুলা আর যানবাহন, কলকারখানার ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। পানিতে প্লাস্টিক, আবর্জনা, কলকারখানা থেকে আসা বিষাক্ত রাসায়নিক। শব্দ দূষণও আছে ভয়াবহ মাত্রায়। হরতাল বা ঈদের ছুটি ছাড়া ঢাকাবাসী প্রিয় শহরের শান্ত রূপ আর কখনো দেখতে পায় কিনা সন্দেহ। দূষণেও বাংলাদেশের ‘সেরা’ শহর ঢাকা।