ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৩ লক্ষ টাকার উন্নয়নের কাজ বেনালে
মেহেদী হাসান মিলন : এক কিলোমিটার নয়। মাত্র ৮৪০ মিটার সড়ক। সিলকোট কাজ। সংস্কারের এ কাজের শেষ হওয়ার এক বছরও পার হয়নি। এর মধ্যেই সিল কোট উঠে গেছে। পূর্বের অবস্থায় রূপ নিয়েছে। এখন দেখলে বিধ্বস্ত এলাকার মত মনে হয় সড়কটি। এ নিয়ে পথচারীদের বিস্তর অভিযোগ। তড়িগড়ি করে রাতের অন্ধকারে কাজটি করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরের বস্ততম প্রধান সড়ক কুমারশীল মোড় থেকে পৌর কলেজ গেইট সংলগ্ন স্থানের কাজটি সম্পন্ন হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে। এর মধ্যেই সবকিছু শেষ। ২৩ লক্ষ টাকার এ কাজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাস্তবায়ন করে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবরে শুরু হয়ে ওই মাসে কাজটি শেষ হয়। কাজ শেষে মাস খানেকের মধ্যেই সড়কটি আগের চেহারায় ফিরে আসে। এতে এসড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী মারাত্মক দূর্ভোগে পড়ছে। যানবাহন খানা খন্দকে আটকা পড়ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের পুরো টাকাই বেনালে গেছে। তড়িগড়ি করে পরিকল্পনা ছাড়াই কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়। এতে নিম্ন মানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা এবং প্রয়োজন অনুপাতে কম ব্যবহার করায় সড়কটির এমন দশা হয়েছে। শুধু এ সড়ক নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের বেশ কিছু সড়কের এমন বেহাল দশা। কাজের তদারকিকারী প্রকৌশলী সুমন কর্মকার বলেন, পানি জমার কারনে এমনটি হয়েছে। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, সড়কের দু’ধারে ড্রেনের প্রয়োজন ছিল। ড্রেন না করায় সড়কে পানি জমে সিলকোট উঠে গেছে। এভাবে পরিকল্পনা বিহীন ভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচ করার যৌক্তিকতা জানতে চাইলে এর কোন সদুত্তর দিতে পারেনি কর্মকর্তারা। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সরকারের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্যই অপরিকল্পিত ভাবে এসব কাজ করা হয়। এর আগেও এ সড়কটিতে একাধিক ঠিকাদার মোটা অংকের টাকার সংস্কার কাজ করে।