সরাইলে যাত্রীবাহী নৌকায় দিনে দুপুরে ডাকাতি
---
মাহবুব খান বাবুল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি নৌকায় দিনে দুপুরে দূর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চুন্টা এলাকার হাওরের মাঝখানে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। ডাকাতদল নৌকার যাত্রীদের কাছ থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। নৌকার মাঝি ও ডাকাতের কবলে পড়া যাত্রীরা জানায়, গতকাল বিকালে চুন্টার ঘাগরাজোর নৌকা ঘাট খেকে ২৫/৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা জয়ধরকান্দির উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেয়। এ সময় চুন্টার এক যুবক চারটি আমড়া নিয়ে যাত্রী বেশে নৌকায় উঠে। তামান্না (০৫) নামের এক বাচ্চাকে একটি আমড়া খেতে দেয়। কিছুক্ষণ পর ওই যুবক মুঠোফোনে কোথায় যেন কথা বলে। ততক্ষণে নৌকাটি হাওরের মাঝখানে চলে যায়। হঠাৎ ভূঁইশ্বরের দিক থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ১২/১৪ জনের মুখোশ পড়া একদল ডাকাত এসে লাফিয়ে যাত্রীবাহী ওই নৌকাটিতে উঠে। মূহুর্তের মধ্যে ডাকাতরা পাইপগান, চাপাতি, রামদা ও ছোঁড়া সহ বিভিন্ন অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। তারা নৌকার মাঝিদের হাত পা বেঁধে ইঞ্জিনের তার ছিড়ে হেন্ডেল পানিতে ফেলে দেয়। পরে সকল যাত্রীদের বেধরক মারপিট করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট সহ অন্যান্য যাবতীয় মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতির পর যাত্রীদের আর্তচিৎকার শুনে একই পথে চলমান মহিষবের গামী নৌকার মাঝিরা এসে ওই নৌকাটি বেঁধে জয়ধরকান্দি নিয়ে যায়। ডাকাতের পিটুনিতে আহত যাত্রী জয়ধরকান্দি গ্রামের হারুন মিয়া গতকাল বুধবার সকালে চুন্টা বাজারে এসে আবু বাক্কার নামের এক যুবককে ডাকাত দলের সদস্য সনাক্ত করায় হারুনকে গন পিটুনি দিয়ে আহত করা হয়। অপর যাত্রী শায়লা আক্তার বলেন, মুখোশ না থাকায় বাক্কারকে আমি চিনতে পেরেছি। সে আমার শিশু কন্যাকে গালে থাপ্পর মেরে গলার চেইন খুলে নিয়েছে। ঘাগরাজোর গ্রামের বাসিন্ধা গিয়াস উদ্দিন (৬০) বলেন, এ ডাকাতি এলাকার লোক ছাড়া কেউ করেনি। এ ঘটনায় ডাকাত জোটনের সম্পৃক্ততা ছিল। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলী আরশাদ বলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।