সোমবার, ২৬শে মার্চ, ২০১৮ ইং ১২ই চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সরাইলে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল পপি

ballo-bibaho_22288-300x180-150x150মাহবুব খান বাবুল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী পপি আক্তার (১২)। গত রোববার বিকালে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে পপিদের বাড়িতে ঘটা করে এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশাসনের উপর অনেকটা বিরক্ত পপির পরিবার। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী বাবুল মিয়ার কন্যা পপি আক্তারের (১২) গত শনিবারে গাঁয়ে হলুদ ও রোববারে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বরকে যৌতুক বাবদ ৮০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছিল। উভয় পক্ষ বিয়ের বাজার করে বাল্য বিয়ের জন্য ছিলেন পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু বিপত্তি ঘটিয়েছে পপির বয়স ও পত্রিকার রিপোর্ট। গত শুক্রবার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় “কনের বয়স ১২,বরের ১৬” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। দৌড়ঝাপ শুরু করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।  শাহজাদাপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা অর্পনা চক্রবর্তী বলেন, পপি ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যালয়ের নথিপত্রে পপির জন্ম ২০০৩ সালের ১৫ জুন। বর্তমানে পপি শাহজাদাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর খ শাখার ছাত্রী। তার শ্রেণী রোল নং-৫০। বর হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্ধা নূর আলীর ছেলে আক্কাস মিয়া (১৬)। আক্কাস ঢাকায় ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী। বিষয়টি জেনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। তিনি দ্রুত বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেন। সুযোগে পপির পরিবারকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয় স্থানীয় কিছু টাউট বাটপার। গত রোববার বিয়ের দিন কনের বাড়িতে অবস্থান করছিল সরাইল থানার এ এস আই কবিরুল। ফলে ওই বাল্য বিয়ে হয়নি। নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পপিকে বাল্য বিয়ের থেকে রক্ষা করতে অনেকে সহায়তা করেছে। বাল্য বিয়ে রোধে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের কাজে যারা মদদ যোগায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
 

Print Friendly, PDF & Email