পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত নয় টাইগারদের
ইংল্যান্ড হট ফেভারিট। সেমিফাইনালের বাকি তিন দল ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকা? বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞের অনুমান ছিল এমনই। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অঙ্কগুলো বদলাতে থাকে সব।
শিরোপায় চোখ রেখে শুরু করা ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালই নিশ্চিত নয়। বড় দলগুলোর মধ্যে সবার আগে ছিটকে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনা জেসন হোল্ডারের দলও ছিটকে গেছে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে। শেষ চারের পথে ভালোভাবে টিকে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। বিশ্বকাপটা উন্মুক্ত হয়ে গেছে তাই।
সাত ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন পাঁচ নম্বরে। বিশ্বকাপের শুরুতে এই ছবিটা দেখেননি বিশেষজ্ঞদের কেউ। কিউই সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তো ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলেছিলেন, বাংলাদেশ জিতবে শুধু একটি ম্যাচ!সেটা উল্টো হজম করতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি তাঁর দল নিউজিল্যান্ডকেও বাগে পেয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা। কেন উইলিয়ামসনের অবধারিত রান আউটটা মুশফিকুর রহিম মিস না করলে জিততে পারত বাংলাদেশ।
সুযোগ হাত ফসকে যাওয়ায় সেমিফাইনালের অঙ্ক জটিল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের। শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানকে শুধু হারালেই শেষ চার নিশ্চিত নয়। পক্ষে থাকতে হবে আরো অনেক কিছু।সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গেছে সবার আগে। ছয় ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ১১ আর সাত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ১১। কোনো অলৌকিক কিছুই শুধু শেষ চার থেকে ছিটকে ফেলতে পারে দুই দলকে।
সেমিফাইনাল খেলতে সবার আগে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডের দিকে। সাত ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা চার নম্বরে। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে এউইন মরগানের দলের পয়েন্ট হবে ১২। তখন শেষ দুই ম্যাচ জিতে ১১ পয়েন্ট নিয়েও লাভ হবে না বাংলাদেশের।
ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা রয়েছে সাত নম্বরে। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালে ৮ পয়েন্ট হবে তাদের। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে লঙ্কানরাও ১২ পয়েন্ট নিয়ে চলে যাবে সেমিফাইনালে। সে ক্ষেত্রেও ১১ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের আফসোস বাড়বে শুধু।মানে সেমিফাইনাল ভাগ্য পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে নেই। তাই নিজেদের দুই ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি মাশরাফিদের আশা করতে হবে অন্য ম্যাচের ফলগুলো যেন নিজেদের পক্ষে থাকে।
এমন কিছু হলে ৯ পয়েন্ট নিয়েও প্রথমবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলা সম্ভব বাংলাদেশের। তখন ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে হারতে হবে দুই ম্যাচ। পাশাপাশি হারতে হবে পাকিস্তানকেও। আপাতত এত কিছু না ভেবে বাংলাদেশ মনোযোগী হবে নিজেদের দুই ম্যাচ জিততে। বাকিটা ভাগ্যের হাতে।