রবিবার, ৭ই এপ্রিল, ২০১৯ ইং ২৪শে চৈত্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

স্কয়ারসহ ৩ কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান

news-image

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডের একটি বাসা থেকে স্কয়ার, ইনসেপটা ও অপসোনিন কোম্পানির নকল ওষুধ তৈরির একটি কারখানা খুঁজে পেয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ।

এখানে স্কয়ারের সেকলো-২০, ইনসেপটার ফিনিক্স-২০ ও অপসোনিনের মনটেয়ার-২০ ওষুধ নকল করে তৈরি করা হতো।

এই কারখানা থেকে পুলিশ অন্তত ৫ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ করেছে। একই সঙ্গে আরও যে পরিমাণ ওষুধ তৈরির প্যাকেট, ক্যাপসুল, ট্যাবলেট রয়েছে তা আরও কয়েক কোটি টাকার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ডিএমপির ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে চলে এই অভিযান।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরা জোন গেন্ডারিয়া ও যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় নকল এই ওষুধের কারখানা আবিস্কার করা হয়। এখান থেকে কয়েকটি প্যাকেজিং মেশিন জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি জব্দ করা হয় কয়েক কোটি টাকার নকল ওষুধের কাঁচামাল।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে আসার আগেই টের পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানার মালিকসহ অন্যরা। যারা এরকম নকল ওষুধ তৈরির কারখানা করেছে, তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। ভেজাল ও নকল ওষুধ তৈরি করা একটি বড় অপরাধ। আমরা কারখানাটি সিলগালা করে দিয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে।’

প্যাকেজিং মেশিনের দাম জানতে চাইলে পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পেরেছি, মেশিনের দাম ৯০ লাখ টাকা। এই মেশিন দিয়ে নিখুঁতভাবে স্কয়ার, ইনসেপটা আর অপসোনিন ব্র্যান্ডের ওষুধ প্যাকেজিং হয়ে বের হয়ে আসে। অন্যান্য রুমে আরও কয়েকটি মেশিন আছে। এখানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা আছে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, ছয় রুমের টিনের চালার একটি স্যাঁতস্যাঁতে বাসা। একজন মানুষ একটি বস্তা বা কার্টন নিয়ে চলতে পারবে এমন সরু গলির ভেতরে বাসাটি।

সেখানে শফিকুল নামে এক যুবক এসে ঘটনার বর্ণনা দিতে শুরু করেন। জানতে চাইলে তিনি নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবি করেন। শফিকুল বলেন, ‘আমিই পুলিশকে এই নকল ওষুধের কারখানার তথ্য জানিয়েছি।’

তার সাথে থাকা আরেক যুবক মোস্তাফিজ জানান, গত ৫/৬ মাস হলো এক নারীর কাছ থেকে এই বাসাটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তারা ক্যাপসুল আর ট্যাবলেটগুলো অন্য জায়গা থেকে তৈরি করে এখানে প্যাকেজিং করত। আকবর আর আক্কাস নামে দুই ব্যক্তি এই কারখানার মালিক। সেখানে আরেকজন কর্মচারী ছিল।’

তিনি জানান, স্কয়ার কোম্পানিতে যারা ওষুধ সেলসের কাজ করেন তাদের তিনি ওই কারখানা থেকে প্রায়ই বেরিয়ে যেতে দেখেছেন।

কিভাবে তাদের চিনলেন জানতে চাইলে মোস্তাফিজ বলেন, ‘হিরো মোটরসাইকেল আর পেছনে ব্যাগ। আবার কারখানার মালিকরাও মিটফোর্ড এলাকায় গিয়ে বস্তা বস্তা ওষুধ বিক্রি করতো।’ এই দুই মালিকের বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে মোস্তাফিজ বলেন, ‘তাদের বাড়ি চট্টগ্রামে। এরা বেশি দিন এক জায়গায় থাকে না। আর চিপাগলির মধ্যে এরকম বাসা ভাড়া করে তারা এসব নকল ওষুধ তৈরি করে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওষুধ কোম্পানি চাকরি করা সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সারা মাস চাকরি করে যে টাকা পাওয়া যায় না, একদিন নকল ওষুধ বিক্রি করলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। এরকম নানা অফার রিপ্রেজেনটিটিভদের কাছে আসে। তবে ক্যারিয়ারের স্বার্থে অনেকেই এই অফার গ্রহণ করেন না।’

এ জাতীয় আরও খবর

সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন

বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় কারও মৃত্যু হলে চালকের মৃত্যুদণ্ড : আইনমন্ত্রী

পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে চবি ক্যাম্পাস রণক্ষেত্র

হত্যা মামলায় খালেদার জামিন আপিলে বহাল

এক সপ্তাহের মধ্যে পুরান ঢাকায় ফায়ার স্টেশন

ছাদ ধসে ছাত্রী নিহত : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, অ্যালার্ট জারি করা যুক্তরাষ্ট্রের প্র্যাকটিস

চার দফা দাবি: চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ, শাটল ট্রেন বন্ধ

রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি : খন্দকার মাহবুব

বিএনপির গণঅনশন চলছে

কুমিল্লায় বাসে আগুন দিয়ে হত্যা : খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

ঝড়-বৃষ্টি কমতে পারে সপ্তাহের মাঝামাঝি