পোড়া ছাইয়ে শেষ সম্বল খুঁজছেন তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে ২৯১টি দোকান। এসব দোকানের মধ্যে আছে বুনিয়াদি, কাঁচামাল, চালের দোকানসহ অনেকের নিত্যপণ্যের দোকান। আর এসব কিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে আগুনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ছাইয়ের মধ্যে শেষ সম্বলটুকু খোঁজার চেষ্টা করেছেন দোকান মালিকেরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার পরে থেকে নিজ নিজ দোকানে প্রবেশ করে শুধু ছাই ছাড়া আর কিছুই মিলছে না মালিকদের ভাগ্যে। কেউ কেউ ছাইয়ের মধ্যে পড়ে থাকা সামান্য জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই কুড়িয়ে নেওয়ার মতোও কিছু পাচ্ছেন না। তাই পোড়া ছাইয়ের ওপরে বসে কান্নাকাটি করেছেন অনেক দোকানি।
কৃষক বাংলা এগ্রো প্রোডাক্ট নামে দোকান মালিক সারোয়ারর্দী দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘আমার দোকানে কাঁচামাল ছিল বেশি। এখন কিছুই নেই। সব আগুনে পুড়েছে।’
একই অবস্থা মার্কেটের পুরে যাওয়া প্রায় সব দোকানীর। মাথায় করে পুড়ে যাওয়া জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন তাহের শেখ। তিনি বলেন, ‘ভাই আমার দোকানের কয়টা লবনের বস্তা ছাড়া আর কিছু নেই। তাই বস্তাগুলো বাইরে নিয়ে যাচ্ছি।’
যদি কিছু মেলে সেই আশায় পুড়ে যাওয়া এসব দোকানের নিচে পানির মধ্যেও হাতরাচ্ছেন অনেক দোকানি। কিন্ত ছাই ছাড়া সেখানেও মিলছে না কিছুই।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত। প্রায় চার ঘণ্টা পর সকাল পৌনে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘গুলশান-১ এ ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে।’
এদিকে আগুন লাগার ঘটনায় ২৯১টি দোকান পুড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ২২ তলা ওই ভবনে আগুন লাগার পর প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫ জন।