আবার হারলেন টেরিজা মে
অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্টের ভোটে এমপি’রা আরও একবার প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের ভোটাভুটিতে চুক্তির পক্ষে পড়েছে ২৮৬ এবং বিপক্ষে পড়েছে ৩৪৪ ভোট। এতে আরও অনিশ্চয়তায় পড়ল যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা।
ব্রেক্সিট কখন হবে বা আদৌ যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে কি না তা এখন পুরোপুরি অস্পষ্ট হয়ে পড়ল।
ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য এ ভোটটিকেই শেষ সুযোগ বলে পার্লামেন্টকে জানিয়েছিলেন মে। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, এ চুক্তি পাস না হলে ব্রেক্সিটে কোনোরকম দেরির ক্ষেত্রে তা ১২ এপ্রিলের পর পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।
এখন ভোটে চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ‘পরিণতি গুরুতর’ হবে বলেই মন্তব্য করেছেন মে। ভোটে পরাজয়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি হাউজের প্রতিটি সদস্যের জন্যই এটি খুবই গভীর পরিতাপের বিষয় যে, আমরা আবারো সুশৃঙ্খলভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘হাউজের এ সিদ্ধান্তের পরিণতি খুবই গুরুতর। আপাতত ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার জন্য হাতে সময় আছে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। অর্থাৎ মাত্র ১৪ দিন। কোনো কিছুতে সম্মত হওয়া, কোনো আইন করা এবং কোনো চুক্তি অনুমোদ করার জন্য এ সময় যথেষ্ট নয়। আর হাউজও এটি পরিষ্কার করে দিয়েছে যে, তারা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট অনুমোদন করবে না।’
মে বলেন, ‘সে কারণে আমাদেরকে সামনে আগানোর একটি বিকল্প পন্থায় একমত হতে হবে।’
ব্রেক্সিট কি: ব্রেক্সিট হলো ব্রিটিশ এক্সিটের সংক্ষেপিত রূপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তথা অপসারণ বোঝাতে ব্রেক্সিট শব্দটি ব্যবহার করা হয়। শব্দটি অনেকটা গ্রেক্সিটের মতো। গ্রিস ইউরোজোন থেকে ছিটকে পড়তে পারে বলে কয়েক বছর ধরে যে সম্ভাবনার গুঞ্জন চলছিল তা থেকেই গ্রেক্সিট শব্দটি চালু হয়েছিল। সে ধারাবাহিতায় ব্রিটেনের এক্সিট অর্থাৎ ব্রিটেনের ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে চালু হয় ব্রেক্সিট শব্দটি।
ব্রিটেন ১৯৭৩ সালে ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর লক্ষ্য ছিল সুলভ মূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও অভিন্ন বাজারসুবিধা। ১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণসহ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেনের ইইউর বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ।