‘সংলাপে দুটি দাবিই মেনে নেয়া সম্ভব’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আলোচনায় বসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেবেন।ঐক্যফ্রন্ট থেকে দেয়া চিঠির উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সংলাপের এ সময় দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় গণভবনে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ প্রস্তুত।
তবে সংলাপ ফলপ্রসূ করতে গেলে দুপক্ষের সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।মানুষ এই সংলাপ থেকে প্রত্যাশা করছে যে, দুপক্ষ একটা সমঝোতায় আসবে। কারণ সবাই চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এমনটি মন্তব্য করেন অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই চাইছিল যে একটা সংলাপ হোক, পরে ক্ষমতাসীনরা এতে সায় দিয়েছে।
এক্ষেত্রে দুই পক্ষ কী ছাড় দিতে পারে বা দেয়া উচিত সে বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। তার মতে উভয়পক্ষ ছাড় দিলে সংবিধানসম্মত উপায়ে ঐক্যফ্রন্টের বড় যে দুটি দাবি তা মেনে নেয়া সম্ভব।সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতিতে যে নির্বাচনের কথা বলা আছে সে অনুযায়ী এই সংসদের শেষ অধিবেশনের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। নির্বাচনের প্রয়োজনে সংসদ মুলতবি হলেও সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হয় না।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, সরকারের ছাড় দেয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। যেখানে সংসদ থাকতে পারবে না।তিনি বলেন, সংবিধানে এটাও আছে যে, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে যদি নির্বাচন হয় তাহলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ রয়েছে। এতে দুটি দাবিই মেনে নেয়া হবে। সংসদও থাকল না আবার একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এসে গেল।
তবে এখন সময় অনেক কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি বা বিরোধী দল কোনটা ছাড় দেবে সেটার সিদ্ধান্ত নেয়ার মধ্যেই তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নির্বাচন যদি জানুয়ারি বা মার্চ এপ্রিলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে অনেক সময় পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কথাবার্তা বলারও সুযোগ থাকবে।
সূত্র: যুগান্তর