খাশোগি হত্যায় ট্রাম্পের জামাতাও জড়িত!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার বিষয়টি ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে সৌদি আরব। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা এবং হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারও জড়িত বলে ইঙ্গিত দিলেন দেশটির হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের পররাষ্ট্র ও গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির সদস্য জোয়াকুইন ক্যাস্ট্রো।
গত শুক্রবার সকালে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দেন এই আমেরিকান আইনপ্রণেতা। তিনি টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও থেকে নির্বাচিত প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান।
ক্যাস্ট্রো বলেন, আমার মতে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে জ্যারেড কুশনার সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে(মোহাম্মদ বিন সালমান) একটি হিট লিস্ট(শত্রুদের তালিকা) দিয়েছিলেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই হিট লিস্টের ভিত্তিতে প্রিন্স যাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছেন, তাদেরই একজন হলেন খাশোগি।
তার কথার মাঝখানেই রিপোর্টার পপি হারলো বলেন, সিএনএনে প্রকাশিত কোনও রিপোর্টে এই দাবি করা হয়নি। এমনকি প্রধান কোনও আমেরিকান মিডিয়াতেই এটা নিয়ে রিপোর্ট হয়নি। বিস্তারিত কিছু না বলে তিনি দাবি করেন, আমি দেখেছি এবং এটার তদন্ত হওয়া উচিত।
দ্য টেক্সাস ট্রিবিউনকে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খাশোগি হত্যার পরিকল্পনায় জ্যারেড কুশনারকে অভিযুক্ত করার কোনও ইচ্ছাই আমার নেই কিন্তু বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু গণমাধ্যমে রিপোর্টে কুশনার এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে।
এটাই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা এবং একটি স্বচ্ছ আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতি প্রত্যাশীদের উদ্বিগ্নতার কারণ বলেও উল্লেখ করেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের পররাষ্ট্র ও গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির এই সদস্য।
জোয়াকুইন ক্যাস্ট্রো বলেন, জ্যারেড বা কোনও প্রশাসনিক কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য সৌদি আরবকে দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করা উচিত কংগ্রেসের। এর ফলেই খাশোগি হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত।