মাকড়শা’র বিষ ব্যবহারে বিজ্ঞানীদের সাফল্য
স্বাস্থ্য ডেস্ক।। সাপ, মাকড়সা, বিচ্ছু কিংবা জেলিফিশ ধরনের প্রাণিগুলো মারাত্মক বিষ উৎপাদন করে থাকে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এধরনের বিষ এখন প্রাণঘাতির পরিবর্তে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করতে পারে। মাকড়শার বিষ ব্যবহার করে ব্যথানাশক ওষুধ তৈরিতে বিজ্ঞানীরা এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। এধরনের প্রানিদের বিষ মানবশরীরে সংস্পর্শে আসা মাত্রই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়া বা অবশ হয়ে যেতে পারে শরীর। আর এখন সেই বিষ কি না ব্যথা নাশক হিসেবে বরং প্রাণ বাঁচাতে অমৌঘ ওষুধ হিসেবে কাজ দেবে। মিরর
আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জীববিদ্যার প্রভাষক মাইকেল ডুগন বলেন, গবেষণাগারে মাকড়শার বিষকে বিষমুক্ত করে এ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা সম্ভব হয়েছে যা ব্যথা নাশক ছাড়াও চেতনা লোপের জন্যে ব্যবহার করা যাবে। কারণ ওই বিষে এমন উপাদান মিলেছে যা ব্যথানাশকের চমৎকার এক বিকল্প। এবং তা মরফিন ও অন্যান্য ওষুধের তুলনায় নিরপদ এক বিকল্প হতে পারে। এমনকি বিজ্ঞানীদের একটি দল এধরনের গবেষণায় মাকড়শার বিষ ক্যান্সার প্রতিরোধক বলেও দাবি করছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে আমরা মাকড়শার বিষ সংগ্রহ করি এবং তার উপাদানগুলো ভাগ করে দেখতে পাই মানবশরীরে এর উপাদানগুলো বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কোনটি কিডনি বিকল করতে পারে, কোনটি রক্ত জমাট হতে আবার কোনটি আপনাকে অজ্ঞান করে ফেলতে সক্ষম। শুধু মাকড়শা নয় সাপ, বিচ্ছু বা অন্যান্য বিষাক্ত প্রাণির বিষ সংগ্রহ করে তা থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে এক বিরাট সফলতা আসছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। মাকড়শার শরীরে স্বল্পমাত্রার বৈদ্যুতিক প্রবাহ প্রয়োগ করে প্রাণিটির বিষের উপাদানে বিভাজন এনে তার ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োগেও সফলতা মিলেছে। বিষের রুপান্তর ঘটিয়ে তা ক্যান্সার কোষের ওপর প্রয়োগ, মানব কোষ ও ব্যাক্টেরিয়ার ওপর প্রয়োগেও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।