সেই কনসার্টের পারিশ্রমিক এতিমখানায় দান করে দিয়েছেন জেমস
একই সময়ে গান শুরু করেন ব্যান্ডশিল্পী জেমস ও প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু। দুজনের সুখ্যাতিও আকাশছোঁয়া। তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কও ছিল গভীর।
১৮ অক্টোবর সব সম্পর্ক ছিন্ন করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন খ্যাতিমান গিটার বাদক ও সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। সঙ্গীতপ্রেমী বাচ্চু ভক্তরা শোকে আচ্ছন্ন। ঠিক একই কারণে মন ভালো নেই গুরু জেমসেরও।
পূর্ব নির্ধারিত একটি কনসার্টে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বরগুনা স্টেডিয়ামে গান গাইতে মঞ্চে উঠেছিলেন জেমস। সেখানে গান গাইতে গিয়ে আবেগে কেঁদেছেন নগরবাউলখ্যাত এই ব্যান্ড তারকা।
তার এই আবেগে সহমর্মিতা দেখিয়ে কেঁদেছেন অসংখ্য শ্রোতাও। গান গাওয়ার এক পর্যায়ে আইয়ুব বাচ্চুকে কনসার্টটি উৎসর্গ করার কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত জেমস থেমে যান।
এরপর বলেন, ‘আজ অনুষ্ঠানটি করার একদম ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু বহু বছর আগের গল্প বলি, একদিন আমি ও আইয়ুব বাচ্চু আড্ডা দিতে দিতে বললাম, আমাদের মতো এরকম শিল্পীদের… (গল্পটি শেষ করতে পারেননি তিনি।
কাঁদতে শুরু করেন)। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, শো মাস্ট গো অন। তাই চেষ্টা করব।’ এরপর গিটারটা হাতে ধরেন এই শিল্পী। মিনিট পাঁচেক টানা বাজাতে থাকেন।
গিটার হাতেও নিজেকে সামলাতে পারেনটি জেমস। অঝোরে তার চোখ বেয়ে জল ঝরতে থাকে। বাজতে থাকে বেদনা-বিধুর সুর। ‘পদ্মপাতার জল’ গানটি গাওয়ার পর আর নিজেকে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারেননি। সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্যাক স্টেজে চলে যান!
কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত পারিশ্রমিকের এক টাকাও তিনি নেননি। সব অর্থ আইয়ুব বাচ্চুর আত্মার সন্তুষ্টির জন্য এতিমখানায় দান করে দিতে আয়োজকদের বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন ব্যান্ড লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।