রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন এমজে আকবর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নারী সাংবাদিক প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন দেশটির কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর।
সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ আদালতে আইনজীবী করনজওয়াল অ্যান্ড কোংয়ের মাধ্যমে তিনি মামলাটি করেন বলে পিটিআই’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯(মানহানি) ও ৫০০ ধারায় রামানিকে নোটিশ পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারা অনুযায়ী, অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা কিংবা দুটি একই সঙ্গে হতে পারে।
আকবর তার আবেদনে জানিয়েছেন, প্রিয়া রামানির অভিযোগ শুধু তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করেনি, পাশাপাশি সমাজে ও আত্মীয়-বন্ধুদের মধ্যে এজন্য তার বদনাম হয়েছে। এটিকে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এছাড়া, ঠিক লোকসভা নির্বাচনের আগেই তার বিরুদ্ধে কেন এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
সম্প্রতি ভারতে শুরু হওয়া #MeToo আন্দোলনে দেশটির বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত মানুষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে অসংখ্য মহিলা। আকবরের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত দশ নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। এদের মধ্যে প্রথম প্রিয়া রামানিই তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন।
আকবরের বিরুদ্ধে যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে, তখন তিনি রাষ্ট্রীয় সফলে দেশের বাইরে ছিলেন। রোববার দেশে ফিরেই এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কাজের কারণে দেশের বাইরে থাকায় আমি এর আগে এনিয়ে কিছু বলতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভুয়া ও ভিত্তিহীন।
ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে এই ঝড় উঠল কেন? এটা আপনারাই (সাংবাদিক) বুঝে নিন। এই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানানো অভিযোগগুলো আমার ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করার বিষয়টা আজকাল একটা অংশের মধ্যে খুব ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আমার আইনজীবীরা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৮ অক্টোবরের টুইটে প্রিয়া রামানি লেখেন, গতবছর তিনি একটি নিবন্ধে লেখেন যে এক সম্পাদক তাকে চাকরির ইন্টারভিউ নিতে নিজের হোটেলে ডাকেন এবং বিছানায় তার সঙ্গে বসতেও বলেন। সেই সম্পাদক হলেন এমজে আকবর।
রামানির এই টুইটের পরই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর আরও কয়েকজন নারী সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগে করেন।