বৃহস্পতিবার, ২১শে জুন, ২০১৮ ইং ৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জার্মান তরুণী কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছাড়লেন

 

নিউজ ডেস্ক।। পর্বতময় মহাসড়ক কিংবা মরুপথে সাইকেল চালিয়ে হাজার মাইল পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে জার্মান তরুণী সুইন্ডে উইদারহোল্ড। ভ্রমণপ্রিয় এই শিক্ষার্থী গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফটোগ্রাফি শিখতে আর ছবি তুলতে। বাঙালি বন্ধুরা ডাকতেন স্যুভিন্দ্যা বলে। গরম আর বৈরী পরিবেশের মধ্যেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করে দেশের বিভিন্ন জায়গার প্রচুর ছবি তুলেছিলেন তিনি। তবে রাখতে পারেননি। গত বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ছিনতাইকারীরা তাঁর ল্যাপটপের ব্যাগটি টান মেরে নিয়ে যায়। সব হারিয়ে শুক্রবার ভোরে কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা ছেড়েছেন সুইন্ডে।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেছেন সুইন্ডে। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভোরবেলায় এলিফ্যান্ট রোডে নিজের অস্থায়ী আবাসে রিকশায় করে যাওয়ার সময় একটি সাদা গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি তার ব্যাকপ্যাকটি টান মেরে নিয়ে যায়। ওই ব্যাগে তাঁর ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ক্রেডিট কার্ড এবং তাঁর দুটি হার্ডডিস্কসহ অন্যান্য জিনিস ছিল।
সুইন্ডের বন্ধু শশাঙ্ক সাহা প্রথম আলোকে বলেন, গত জানুয়ারিতে ধানমন্ডির পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফটোগ্রাফি কোর্স করতে ঢাকায় আসেন সুইন্ডে। তিনি চট্টগ্রামে জাহাজভাঙা শিল্প, সুন্দরবন, কুয়াকাটাসহ অনেক জায়গায় প্রচুর ছবি তুলেছিলেন। সেই ছবিগুলো বিভিন্ন বন্ধুর কম্পিউটারে জমা ছিল। বুধবার রাতে শংকর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক বন্ধুর বাড়িতে অন্য বন্ধুসহ রাতে থেকে তিনি সব ছবি তাঁর হার্ডডিস্কে স্থানান্তর করেন।

আরও : হাজার হাজার শরনার্থী সমস্যার ফল ভোগ করছে ইউরোপের দেশগুলো

ভোরবেলা এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালের অস্থায়ী আবাসে ফিরতে তিনি একটি রিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি জিগাতলা পার হয়ে সীমান্ত স্কয়ারের ফটকে আসামাত্র একটি সাদা গাড়ি থেকে তাঁর ব্যাগটি টান দিয়ে নিয়ে যায়। গাড়ির নম্বরপ্লেট বাংলায় থাকায় তিনি সেটি বুঝতে পারেননি। রিকশাচালকও সেটি খেয়াল করেননি। এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন সুইন্ডে।

শশাঙ্ক বলেন, সুইন্ডে তাঁর বন্ধুদের জানিয়েছেন, তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাঁর দুটি হার্ডডিস্ক। দীর্ঘ সময় কষ্ট করে তোলা ছবি এতে রয়েছে। এ দুটি হার্ডডিস্কের জন্য বৃহস্পতিবার সারা দিনই কেঁদেছেন প্রায় অর্ধেক পৃথিবী চষে বেড়ানো এই নারী। তাঁকে কিছু খাওয়ানোও যায়নি। শুক্রবার ভোরবেলা বন্ধুরা তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়ে আসেন।

সুইন্ডে তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘একটি ঘটনা পুরো বাংলাদেশ ভ্রমণে অভিজ্ঞতাটি কালো মেঘে ঢেকে দিল। না, এটা (বাংলাদেশ) ভ্রমণের জন্য নিরাপদ নয়। একা ভ্রমণ না করাই ভালো।…আমি কেবল একটি কথাই বলতে পারি, দেখে-শুনে চলো, নিজের ক্ষেত্রে সাবধানে থেকো।…আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বাংলাদেশ ছাড়ছি।’
এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা পুলিশ এখনো শনাক্ত করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ ইসলাম। আজ সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। আমরা চেষ্টা করছি।’ উৎস: প্রথম আলো।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

অভিবাসী শিশুদের গোপনে নিউইয়র্ক পাঠানোয় মেয়র ‘হতবাক’

খুলনায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ৫

মাদকাসক্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে যোগব্যয়াম কার্যকর: সেতুমন্ত্রী

স্থানীয় যৌনকর্মী ব্যবহারের অভিযোগ ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের বিরুদ্ধে

এমপিপুত্রের গাড়িচাপায় মৃত্যু: ৩৬ ঘণ্টায়ও অভিযুক্ত শাবাবকে গ্রেফতার ও গাড়ি জব্দে অগ্রগতি নেই

বিশ্বকাপ আসরে রমরমা যৌনব্যবসা, লাখো যৌনকর্মীর সমাগম