এতিম মেধাবী নুসরাতের স্বপ্ন কি নিভে যাবে!
অনলাইন ডেস্ক : বাবা নেই, একমাত্র মা মমতাজ বেওয়াও এখন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাসায়ী (প্যারালাইসড রোগী)। নেই কোনো জমি-জমা অথবা একটু মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই। অন্যের বাড়িতে আশ্রিত থেকে শত কষ্ট ও দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে আলোকিত হয়েছেন নাটোরের সিংড়ার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত হাসান। সে এবার সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
নুসরাতের বাবা মেহেদী হাসান ছয় বছর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। আর চার ভাই-বোনের মধ্যে তার বড় ভাই অনেক আগেই নিখোঁজ হয়েছেন। এখন অভাবের সংসারে নুসরাত হাসানের স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছে।
মেধাবী নুসরাত হাসান জানায়, ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছি। প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া করে টিভি সাংবাদিকতার। কিন্তু বাবার মৃত্যু আর হঠাৎ মায়ের অসুস্থতা যেন সেই স্বপ্ন নিভে যেতে বসেছে।
আরও : ইস্ট লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে স্পিকার হলেন আয়াছ মিয়া
নুসরাতের আকুতি- লেখাপড়া চালাতে সহযোগিতা করার কি কেউ নেই!
মমতাজ বেওয়া জানান, নুসরাতের বাবা মেহেদী হাসান নাটোর লাল বাজারের একজন সামান্য অটোচালক ছিলেন। তার মৃত্যুর পর সিংড়ার সরকারপাড়া মহল্লায় এসে একটি টিনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনোরকম নিভু নিভু করে বেঁচে রয়েছি।
ঠিকমতো তিনবেলা খাবার জোটে না তাদের। অভাবের কারণে নুসরাতকে তাদের এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় আশ্রিত থেকে পড়ালেখা করতে হয়েছে। আর এখন তিনি নিজেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ডান হাত ও ডান পা প্যারালাইসড হয়ে বিছানায় শয্যাসায়ী। তার মেয়ের পড়াশোনা চালাতে তিনি সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, নুসরাত হাসান ছাত্রী হিসেবে অনেক মেধাবী। এতিম ও হতদরিদ্র হওয়ার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করেছি। সেও অনেক শ্রম দিয়েছে, যার ফলে ভালো রেজাল্ট করতে সক্ষম হয়েছে।