রবিবার, ২৭শে মে, ২০১৮ ইং ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

দুই সন্তানসহ মায়ের ইসলাম গ্রহণ, আদালতে বৌদ্ধ বাবা

মালয়েশিয়ায় দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছেন এক বৌদ্ধ নারী। সন্তানদের জোরপূর্বক ধর্মান্তর করানোর অভিযোগ আদালতের দারস্থ হয়েছেন সন্তানদের বৌদ্ধ বাবা।

৪২ বছর বয়সী ওই মা ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে ২০১৬ সালের ১১ জুন তার নয় বছরের মেয়ে এবং পাঁচ বছরের ছেলেকে ইসলাম ধর্মান্তর করান। গত মাসে দেশটির ‘শাহ আলম হাইকোর্ট’ এই দুই সন্তানকে মায়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

এব্যাপারে রাষ্ট্রীয় আইনজীবী সুলাইমান আবদুল্লাহ সোমবার হাইকোর্টকে বলেন, একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম মায়ের অধিকার রয়েছে তার দুই সন্তানকে ইসলামে ধর্মান্তর করানোর। কারণ আদালত কর্তৃক তাকে সন্তানের বৈধ অভিভাবক ঘোষণা করা হয়েছে।

গত মাসে শাহ আলম হাইকোর্ট এই ছেলেমেয়েদের দেয়া জবানবন্দির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে এবং বলেছিল যে, তাদের মায়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই তারা মসজিদে যেতে রাজি আছেন এবং মেয়েটি বলেছিল যে, সে মাথায় হিজাব পরিধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

আরও : ইস্ট লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে স্পিকার হলেন আয়াছ মিয়া

তিনি আদালতকে আরো বলেন, এই দুই সন্তানকে ইসলামে ধর্মান্তর করানোয় ওই মাকে থামানোর কোনো কিছু নেই। যেহেতু আরেকটি দেওয়ানি আদালতে সন্তানদের মায়ের হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও, বৌদ্ধ বাবা তার ছেলে-মেয়েদের ইসলাম গ্রহণের সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। তিনি যুক্তি দেন যে তাদের ‘অবৈধভাবে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে’। তিনি দাবি করেন যে, তার সাবেক স্ত্রী সন্তানদের নিজ হেফাজতে রাখার চেষ্টায় তাদেরকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছেন।

সুলাইমান এদিন আদালতের কাছে উপস্থাপন করেন যে, মুসলিম হিসাবে শিশুদের নিবন্ধিত করার জন্য ‘মুয়াল্লফ রেজিস্ট্রার’ ইসলামিক আইন তাদের অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে।

সূত্র: স্টার অনলাইন/ আরটিএনএন

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

চাঁদে পা রাখা মহাকাশচারী অ্যালান বিন আর নেই

ব্রিটেনে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিয়ে গুপ্তচর হওয়ার ডাক

আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আনতে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার গচ্চা : মার্কিন প্রতিবেদন

শেখ হাসিনার জন্য কলকাতায় পথে পথে ভিড়

ওমানে সাইক্লোন মেকুনুর আঘাতে নিহত বেড়ে ১০, মোড় নিয়েছে সৌদির দিকে

বিশ্ব কখনো দেখেনি এমন অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা পুতিনের