প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরে খুলছে না তিস্তা জট!
ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পশ্চিমবঙ্গ সফরে খুলছে না তিস্তা জট! এ নিয়ে ঢাকা-নয়াদিল্লির সঙ্গে নতুন কোনো অগ্রগতিও হয়নি। সে দিক থেকে তার এবারের সফরে তিস্তা ইস্যুতে খুব একটা ফলদায়ক কিছু হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র।
একই সঙ্গে সূত্রটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী তিস্তা ইস্যুতে নিজেও খুব আন্তরিক। কিন্ত সমস্যাটা হলো দেশটির রাজ্য’র রাজনীতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। হাসিনা-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অনান্য বিষয়গুলোর মধ্যে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হলেও এ নিয়ে আলাদা কোনো ফ্রেমওয়ার্ক নেই।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজনৈতিক ইস্যুতে তিস্তার জলঘোলা রেখেছেন বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিমল শঙ্কর নন্দ।
টেলিফোনে আমাদের এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, মমতা তিস্তা নিয়ে এভাবে অনড় অবস্থানে থাকলে তাতে মারাত্মক অবস্থা হবে পশ্চিমবঙ্গের। সংখ্যালঘু হিন্দু জনগোষ্ঠী যদি বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়, তারা এ রাজ্যে এসে আশ্রয় নেবে। তাই মমতা ব্যানার্জীর রাজনৈতিকভাবে ঠিক হবে না বিষয়টার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ানো। এখানে ২৭% মুসলমান ভোট, তার একটা বিরাট অংশ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক। যারা বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাধরদের পছন্দ করেনা।
আরও : ইস্ট লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে স্পিকার হলেন আয়াছ মিয়া
সম্পর্ক বিশ্লেষক বিমল শঙ্কর নন্দের মতে, স্থানীয়দের কৌশলে বাগে রাখতেই হয়ত মমতকে খুব ব্যাল্যান্স করে চলতে হয় যাতে ওই মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক কোনোভাবেই হাত ছাড়া না হয়। কিন্ত এরতো বেশ খারপ দিকও রয়েছে। ওখানের তিস্তা পারের মানুষরাতো এখানের পানির ভরষা করছে।
বাংলাদেশ বহুবার এ নিয়ে আলোচনা করছে ইন্ডিয়ার সাথে। কিন্ত মমতার নিজস্ব চিন্তা ভাবনার কাছে সেগুলো কতটা গুরত্ব পাচ্ছে সেটাতো দৃশ্যমান।
পানিরমতো প্রয়জনীয় প্রকৃতিগত একটা বিষয় নিয়ে এক সঙ্গে এত মানুষকে কষ্ট দেওয়াটা কতটা সঠিক সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরে তিস্তা ইস্যুতে কোন অগ্রগতি হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের যবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘যথা সময়ে প্রকাশ্য। এখন এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দুদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ যাচ্ছেন। এই সফরে তিনি শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডিলিট) গ্রহণ করবেন।
উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবনে’র উদ্বোধন করবেন এবং সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। বাংলাদেশ ভবনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সৌজন্য সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আশা করা হচ্ছে সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা।