ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার প্রধান নৌ প্রকৌশলী রিমান্ডে
আদালত প্রতিবেদক : অফিসে বসে ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস এম নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের হেফাজতে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদের সাত দিনের হেফাজতের আবেদন শুনে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুহম্মদ ফাহ্দ বিন আমিন চৌধুরীর আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে হেফাজতের আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসান বক্তব্য দেন। অন্যদিকে নাজমুল হকের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চান আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান ও মোসলেহ উদ্দিন জসিম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামে যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্র প্রদানের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণকালে নাজমুল হককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না-তা জানার জন্য জেলহাজতে আটক নাজমুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।”
অন্যদিকে নাজমুলের আইনজীবীরা বলেন, “নাজমুল হককে ফাঁদে ফেলে একটা হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন প্রকৌশলী, তার অফিসেই তো জায়গা আছে। ঘুষ নেওয়ার জন্য তিনি হোটেলে যাবেন কেন?
“নাজমুল হক অসুস্থ, বয়স্ক একজন মানুষ। এখানে রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
আদালত দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে নাজমুল হকের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১২ এপ্রিল বিকালে সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁয় বসে ‘ঘুষের পাঁচ লাখ টাকা’ নেওয়ার সময় নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে দুদকের ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি দল।
এর পর গত সোমবার তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই নিজের কার্যালয়ে বসে ‘ঘুষ নেওয়ার সময়’ নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন।
ফখরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত বছরের ২০ অগাস্ট এই পদে চলতি দায়িত্বে আসেন নাজমুল হক।