বিদায় ১৪২৪, স্বাগত ১৪২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায় নিলো ১৪২৪। পুরনো সব হতাশা, গ্লানি আর জরাজীর্ণতা ধুয়ে মুছে গেলো চৈত্রের শেষ সূর্য ডুবির সঙ্গে সঙ্গে। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচনা হবে নতুন একটি বছরের। সেই সঙ্গে বোনা হবে নতুন নতুন স্বপ্নের। গান আর সুরে নতুন বছর ১৪২৫ স্বাগত জানানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ছায়ানট। শেষ মুহূর্তের মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলে। এখন অপেক্ষা নতুন বছরের প্রথম প্রভাতের।
সূর্যাস্তের মাধ্যমে বিদায় নিলো আরও একটি বছর। আগামীকাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গান আর সুরে সুরে আবাহন করা হবে বাংলা নতুন বছর ১৪২৫। পুরনো বছরের সব জঞ্জাল দূরে ঠেলে প্রীতি ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হতে এরই মধ্যে বর্ষবরণে প্রস্তুত রমনা বটমূল। মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষঙ্গিক উপকরণ তৈরির কাজও শেষ দিকে।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যেসব শিল্পী অংশ নেবেন তারা বলেন, এবার আমাদের প্রতিপাদ্য বিষয়, বিশ্বায়নের বাস্তবতায় শিকড়ের সন্ধান। বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চললেও যেন শেকড়ের প্রতি টান থাকে, সেই আহ্বান জানিয়েই আমাদের গানগুলো সাজানো হয়েছে।
এদিকে, বর্ষবরণের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিও শেষ দিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দিন রাতের পরিশ্রমের পূর্ণতা পেয়েছে বিভিন্ন মোটিভ।
রংবেরঙের লোকজ ঐতিহ্যের প্রতিরূপ নিয়ে শনিবার সকাল নয়টায় শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার মাধ্যমে সব অমঙ্গলকে বিদায় জানিয়ে স্বগত জানানো হবে সুন্দরকে।
তারা বলেন, সবাইকে নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আসবো। সবার সঙ্গে আনন্দটুকু ভাগ করে নিব।
সময়ের ব্যবধানে দেশ পেরিয়ে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়া সার্বজনীন এ উৎসব এখন দেশের সবচেয়ে বড় আনন্দ আয়োজন। শুধু একদিনের বাঙালিয়ানা নয়, বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান আর আয়োজন দূর করবে সমাজের সকল অসঙ্গতি। শান্তি আর সম্প্রীতির বন্ধনে দৃঢ় হবে মানুষের সম্পর্ক।