‘মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছি’
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমার জীবনটা একটি জিত। আমার চোখের সামনে আগুনে তিনজনকে পুড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো জীবন দান করেছেন।’
এভাবেই নিজের অভিব্যক্তির কথা জানাচ্ছিলেন শাহরিন আহমেদ। তিনি গত ১২ মার্চ নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত হন।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে তিনি একটি গাড়িতে করে ঢাকার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে। এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
শাহরিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়ার পর তার চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, শাহরিন ৯০ ভাগ সুস্থ হয়েছেন। আগামী দুই সপ্তাহ পর তাকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসতে হবে।
১২ মার্চ ইউএস-বাংলার বিমান নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চার জন ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও একজন চীনা নাগরিক নিহত হন। নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ ১৯ মার্চ ও তিনজনের মরদেহ ২২ মার্চ দেশে আনার পর দাফন করা হয়।
আহত হন ১০ বাংলাদেশি, ১১ জন নেপালি ও মালদ্বীপের একজন। আহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৫ মার্চ শাহরিন আহমেদকে, পরদিন মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানিকে, ১৭ মার্চ সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত, ১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারী এবং ১৯ মার্চ কবির হোসেনকে দেশে আনা হয়। পরে কবির হোসেনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ২৫ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ মার্চ বিকালে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান শাহীন ব্যাপারী।