‘এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দরকার নেই’
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই এই মুহূর্তে এর কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে এক্সরে করার পরদিন রবিবার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক শামসুজ্জামান এই প্রতিবেদককে তার এই মত দেন।
তবে এই চিকিৎসক জানান, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন তারা পাননি এখনো। আর এই প্রতিবেদন পেলে তারা নতুন করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির না করার পর তার অসুস্থতার বিষয়টি ছড়ায়। আর দুই দিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি জানান। একই দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, চিকিৎসকরা চাইলে বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেয়া হবে।
এর মধ্যে গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার শাহিন খান এবং কারাগারের চিকিৎসক মাহমুদুর রহমান বিএনপি নেত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।
আর ১ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুজ্জামাকে প্রধান করে নিউরোলজির মনসুর হাবীব, মেডিসিন বিভাগের টিটু মিয়া ও এবং ফজিকাল মেডিসিনের সোহেলী রহমানকে নিয়ে হয় মেডিকেল বোর্ড।
এই বোর্ড সেদিন কারাগারেই বিএনপি নেত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। আর তাদের সুপারিশ অনুযায়ীই ৭ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেত্রীকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এনে বেশ কিছু এক্সরে করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক আবদুল্লাহ আল হারুন গতকালই আজকের মধ্যে এই পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান। তিনি বলেন, এই প্রতিবেদন তারা বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসায় গঠিন মেডিকেল বোর্ডে পাঠিয়ে দেবেন। আর তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর থেকে তিনি এই বিশেষ কারাগারে আছেন। ৫৮ দিন পর প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কারাগারে বাইরে আনা হয়। ঢাকাটাইমস