মঙ্গলবার, ১০ই এপ্রিল, ২০১৮ ইং ২৭শে চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

১৪ গ্যালন বুকের দুধ দান করলেন মার্কিন নারী

হাসপাতালের ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে থাকা বাচ্চাদের বাঁচাতে ১৪ গ্যালন বুকের দুধ দান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ডাকোটা রাজ্যের আমান্ডা ল্যানারস নামের এক নারী। আর তার দান করা দুধে হাসপাতালে অসুস্থ থাকা দুই হাজারেও বেশি শিশু উপকৃত হয়েছে।

সন্তান প্রসবের পর একজন মায়ের বুকের দুধ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হলে সেটি বের করে ফেলে দেয়া হয় বা সংরক্ষণ করা হয়। তবে বুকের অতিরিক্ত দুধ সংরক্ষণ না করে দান করার সিদ্ধান্ত নেন আমান্ডা।

আমান্ডা তার ছোট্ট বাচ্চাকে দুধ পান করান। প্রতিদিন তার বাচ্চাটি ৭২ আউন্স (প্রায় আধ ছটাক পরিমাণ) দুধ গ্রহণ করে। এছাড়া আরও অনেক দুধ তার বুকে থাকে। তারপর তিনি সেগুলো হাত দিয়ে চেপে বের করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন এবং এক ভালোবাসা দিবসে দক্ষিণ ডাকোটার সিওক্স ফলের এভারা ম্যাককেনেন হাসপাতালে ১৪ গ্যালন বুকের দুধ দান করেন।

আমান্ডা বলেন, আমি বুকের অতিরিক্ত দুধ নষ্ট করতে চাইছিলাম না। এজন্য আমি ম্যাককেনেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলি। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘আমি বুকের দুধ দান করতে চাই। এক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি? কারণ আমি জানি ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে থাকা বাচ্চাদের জন্য বুকের দুধ কতটা কার্যকরী।’

আমান্ডার বান্ধবী সময় হওয়ার আগেই (প্রিম্যাচিউর) দুটি সন্তান জন্ম দেন। তারপর নার্সরা তাকে জানায় যে এই বাচ্চাদের জন্য বুকের দুধ কতটা উপকারী। এরপরই তিনি বুকের দুধের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন এবং এ বিষয়ে নিজে বুকের দুধ দান করার পাশাপাশি অপরকে সচেতন করেন।

তিনি বলেন, আমার সামর্থ থাকা পর্যন্ত আমি এগিয়ে যেতে চাই এবং এসব ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাগুলোকে সাহায্য করতে চাই।

তবে বুকের দুধ দান করতে চাইলেও এ প্রক্রিয়া আমান্ডার জন্য খুব একটা সহজ ছিলো না। কারণ বুকের দুধ দান করা রক্ত দান করার মতোই। রক্ত দান করার জন্য যেমন ব্যক্তির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়। বুকের দুধ দান করতে চাইলেও তেমনটি করতে হয়।

এরপর আমান্ডা মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অব আইওয়ার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন। এ ব্যাংকটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া’ ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এরপর ৩০-৪০ পৃষ্ঠার ফর্ম পূরণ করতে হয় তাকে।

দুধ বের করার সময় তিনি কোনো ওষুধ বা ওষুধজাতীয় কিছু গ্রহণ করেন কি না তা জানাতে হয়। এরপর আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বুকের দুধ দান করার প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হন আমান্ডা। গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় এক মাস লেগে যায়।

বাচ্চাদের নিরাপত্তার খাতিরে এসব প্রক্রিয়া শেষ করেই বুকের দুধ দান করেন আমান্ডা। তার দান করা দুধ প্রায় দুই হাজার শিশুকে সাহায্য করেছে বলেও জানান তিনি। গত দুই মাস আগে বুকের দুধ দান করলেও সম্প্রতি এটিকে প্রকাশ করেছে ক্যাককেরেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্র: সিএনএন

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বিজলী মুক্তিতে বাধা, জিডি করলেন ববি

আজ একটি গোপন কথা জানাব : সানিয়া মির্জা

দ্রততম মানব-মানবী হলেন আকানি-মিশেল লি

ভালো ঘুমের ৭টি খাবার

নাসায় মিলছে সূর্যে যাওয়ার টিকিট, আপনিও হতে পারেন যাত্রী!

‘সুজানাস ক্লোজেট নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক’