সোমবার, ৯ই এপ্রিল, ২০১৮ ইং ২৬শে চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যেসব শুকনো ফল পুষ্টি-ভিটামিনে ভরপুর

প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ভক্ষণযোগ্য ফাইবারে পূর্ণ খাবার শুকনো ফল। মজাও অনেক। স্বাস্থ্যবিদরা শুকনো খাবার যেমন অ্যাপ্রিকট, ওয়ালনাট, পেস্তা, কাজু কিংবা আলমন্ড বাদামের জাদুকরী গুণের কথা বলেন। বলা হয়, এসব শুকনো ফল খেলেই আপনার দেহের পুষ্টির চাহিদার সবটুকু মিটে যাবে। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন তেমনই কয়েকটি শুকনো এবং দারুণ স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা।

আলমন্ড
অতি পরিচিত এক বাদাম। মিষ্টি এই বাদাম যেকোনো সময় খাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। আবার কোলেস্টেরল শূন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য, শ্বাসযন্ত্রে অসুবিধা এবং হার্টের যেকোনো সমস্যার জন্যে আলমন্ড খুবই উপকারী। আবার চুল, ত্বক এবং দাঁতের জন্যে এর প্রয়োজনের কথা বলাই বাহুল্য।

কাজু
আরেকটি পরিচিত বাদাম। ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘বি৬’ এর অন্যতম উৎস। অন্যান্য স্বাস্থ্যগুণের কোনো কমতি নেই। বিভিন্ন ধরনের খাবারে অনায়াসে ব্যবহার করা যায়।

রাইজিন
এগুলো আসলে শুকনো আঙ্গুর ফল। মিষ্টিজাতীয় যেকোনো খাবারে তা ব্যবহার করা যায়। পুষ্টিকর ও মুখরোচক অন্যান্য খাবারের বেশ জনপ্রিয় উপকরণ। দেহের এসিডিটি কমাতে এবং হজমে সমস্যা মেটাতে বেশ কার্যকর এই মজার খাবার।

ওয়ালনাট
শক্ত খোলসে মোড়ানো এই বাদাম খুবই পুষ্টিকর। দেহের কার্যক্রম পরিচালনার অতি জরুরি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভক্ষণযোগ্য ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ- কী নেই এতে?

পেস্তা
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষায় বেশ কার্যকর। দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর গুণ সর্বজন স্বীকৃত।

খেজুর
যেকোনো ফলের দোকানে সারাবছর পাওয়া যায়। বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে দরকার হয়। এই শুকনো ও জনপ্রিয় ফলে আছে ভিটামিন, প্রোটন, খনিজ এবং প্রাকৃতিক চিনি। বলা হয়, রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর অনন্য। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

Print Friendly, PDF & Email